
কুষ্টিয়া পৌর বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভোট চুরির নির্বাচন বাতিল এবং জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কুতুব উদ্দিন ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন সরকারের পদত্যাগের দাবিতে জেলা বিএনপি কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির ত্যাগী,পরীক্ষিত ও অঙ্গসংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে শহরের কোর্টপাড়া ২৭, জিতেন্দ্রনাথ মজুমদার লেনের খাদেমুল সৃজন টাওয়ারে অবস্থিত জেলা বিএনপি’র কার্যালয় ঘেরাও করে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কাফনের কাপড় পড়েও কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করে প্রতিবাদ জানান যুবদলের দুই কর্মী। ঘেরাও কর্মসূচি চলে বেলা ১টা পর্যন্ত।
এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে পরাজিত প্রার্থী মো. আক্তারুজ্জামান কাজল মাজমাদার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম রিন্টু, জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মেজবাউর রহমান পিন্টু, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস. এম. গোলাম কবিরসহ অন্যান্য নেতাকর্মী।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ন সম্পাদক জাকির হোসেন জনি, কুষ্টিয়া শহর যুবদলের আহবায়ক কল্লোল, সদস্য বিপ্লব আলম শান্ত, জেলা কৃষকদলের সাবেক সভাপতি দুলাল প্রমুখ।
এর আগে গত শুক্রবার (২৭ জুন) কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলেন ৬ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ২ জন। এ কে বিশ্বাস বাবু ছাতা প্রতীকে ৬১১ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আক্তারুজ্জামান কাজল মাজমাদার চেয়ার প্রতীকে পান ৫৯৫ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মোরগ প্রতীকে ৭৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন মো. কামাল উদ্দিন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল হাকিম মাসুদ মই প্রতীকে ৬২১ ভোট পান।
এই নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অ্যাড. আব্দুল মজিদ, নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অ্যাড. নুরুল ইসলাম নুরুল, অ্যাড. রাশেদুল ইসলাম, অ্যাড. এস এম বদিউজ্জামান ও অ্যাড. খাইরুল ইসলাম। পরদিন শনিবার কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট পুনর্গণনার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন পরজিত সভাপতি প্রার্থী কাজল মাজমাদার। এদিন বিকেলে জেলা কার্যালয়ে অবস্থান নেন তিনি ও তার সমর্থকরা। পরে নির্বাচন কমিশনার জেলা বিএনপির সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক আবদুল মজিদ জেলা বিএনপির নেতাদের উপস্থিতিতে আবার ভোট গণনা করেন। সেখানে বাতিল হওয়া ভোটের মধ্যে ৪টি ভোট কাজল মাজমাদার পান। ফলে তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৯৯। এরপর থেকে পুনরায় কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির ভোটগ্রহণের দাবিতে কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাকির হোসেন সরকারকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
Comments