Image description

মির্জাগঞ্জে মহাসড়কের বেহা দশা, ভোগান্তিনে পথচারীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। চলতে গিয়ে  বিপাকে পড়েছে ছোট- বড় যানবহন। সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট- বড় গর্তের। আর বৃষ্টির পানি সেই গর্তে জমে পরিনত হয় জনদূর্ভেগে। বরগুনা-চান্দখালী-সুবিদখালী-কাঠালতলী-রবিশাল মহাসড়কের মির্জাগঞ্জ  উপজেলা পরিষদ থেকে উত্তর দিকে প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কের এই দুরবস্থা। মহাসড়ক নয়, এ যেন এক মৃত্যুফাঁদ। এ সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে যানবাহন গর্তে আটকে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। পায়ে হেটে চলা পথচারীদের যেন দূর্ভোগের শেষ নেই। 

জানা যায়া, ঈদুল আজহার পূর্বে উপজেলা পরিষদের সামনের কিছু অংশে নিম্নমানের কার্পেটিং করা হয়।কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে কার্পেটিংয়ের পাথরের কণাগুলো উঠে গেছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, কিছু কিছু স্থানে কার্পেটিংয়ের চিহ্নও অবশিষ্ট নেই। নতুন সড়কের কলেজ তিন রাস্তা নামক স্থানে বর্ষা এলেই দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানিতে পথচারীদের হাঁটা দায় হয়ে পড়ে। সামান্য বৃষ্টিতেই গর্তে পানি জমে থাকে, যা দেখে বোঝার উপায় নেই যে এখানে গর্ত আছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে অর্ধশতাধিক ঢাকা ও বরগুনাগামী যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। 

স্থানীয় ও পথচারীরা বলেন, রাস্তাটি এমন অবস্থা বৃষ্টি হলে গাড়ি -ঘোড়া তো দূরের কথা পায় হেটে চলাই মুশকিল। পঁচা গন্ধযুক্ত পানি জমে থাকে রাস্তার ওপর। এই সড়কটির দুইপাশে ড্রেনের ব্যবস্থাসহ মজবুদ করে সংস্কার একান্ত দরকার। বিভিন্ন চালকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, দুই এক কিলোমিটার রাস্তায় যে কষ্ট হয় তা ঢাকা থেকে আসতেও এত কষ্ট হয় না। সুবিদখালী আসলেই শুরু হয় ঝাঁকানি। মহাসড়কের এই ভাঙ্গা জায়গায়টুকু সংস্কার করলে যাত্রী এবং আমাদের আর ভোগান্তি পোহাতে হতো না। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, “ঈদের আগেই সড়ক মেরামতের কাজ শুরু হয়েছিল, কিন্তু বৃষ্টির কারণে শেষ করা যায়নি। বৃষ্টি কমলে আবার কাজ শুরু হবে। আমি সড়ক বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি, সড়কের গর্তগুলো ইটের খোয়া দিয়ে ভরাট করার বিষয়ে। যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে। বরগুনা। 

বরগুনা সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী কুমারেশ বিশ্বাস বলেন, পুনরায় সংস্কারের কাজ করা হবে।