
আমেরিকা বিদেশি সহায়তা বন্ধ করায় বিশ্বজুড়ে এক কোটি ৪০ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। আজ মঙ্গলবার প্রভাবশালী চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য সাময়িকী দ্য ল্যানসেটের প্রতিবেদনে এ শঙ্কার কথা জানানো হয়।
গবেষণার সহলেখক এবং বার্সেলোনা ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথ-এর গবেষক ডাভিদে রাসেলা এক বিবৃতিতে বলেন, অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের জন্য এই ধাক্কাটি একটি বৈশ্বিক মহামারি কিংবা বড় ধরনের সশস্ত্র সংঘাতের মতো হবে ।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডির বৈশ্বিক সাহায্য কর্মসূচিতে ব্যাপক বাজেট কাটছাঁট করেছে। প্রশাসনের দাবি, এই পদক্ষেপ অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর অংশ।
তবে মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও কর্মীরা এসব কাটছাঁটের বিরুদ্ধে সতর্ক করে আসছেন। গবেষণায় বলা হয়েছে, ইউএসএআইডির তহবিল বৈশ্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, বিশেষ করে আফ্রিকান দেশসহ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। গত দুই দশকে এই সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত কর্মসূচি ৯ কোটির বেশি মৃত্যুরোধে সহায়তা করেছে, যার মধ্যে ৩ কোটির বেশি শিশু অন্তর্ভুক্ত।
গবেষণায় পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, এই সাহায্যে চলমান ছাঁটাই ও সংস্থাটি ভেঙে ফেলার ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে আরও ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এরমধ্যে ৫ বছরের নিচে ৪৫ লাখ শিশুর মৃত্যু হতে পারে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সহায়তা প্রদানকারী দেশ। বৈশ্বিক সাহায্যের ৩৮ শতাংশের উৎস ওয়াশিংটন। গত বছর দেশটি ৬১ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক সহায়তা দিয়েছে, যার অর্ধেকেরও বেশি গেছে ইউএসএআইডির মাধ্যমে।
Comments