Image description

ইসলামী আন্দোলনের জনসভায় যাওয়ার পথে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে অংশে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ৪ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (২৭ জুন) রাত তিনটার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের হাসাড়া হাইওয়ে থানার অদূরে বিপরীত পাশে ঢাকামুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন, জালাল উদ্দিন, জিল্লুর রহমান, ডা. আব্দুল আলিম ও বাস হেলপার হাসিব। তারা সবাই যশোর সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যশোর থেকে ঢাকাগামী হামদান এক্সপ্রেস নামের একটি বাস হাসাড়া এলাকায় পৌঁছালে চলন্ত অবস্থায় একটি ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। সংঘর্ষের পর উভয় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের মাঝখানের সড়ক দ্বীপের রেলিংয়ের সঙ্গে আলাদাভাবে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শ্রীনগর ফায়ার স্টেশন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকায় প্রেরণ করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজন মারা যান।

এ বিষয়ে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে নিহত দুজনের মরদেহ হাইওয়ে থানায় রয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখন পর্যন্ত আরও দুজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ নিয়ে চারজন মারা গেছেন বলে আমাদের কাছে সর্বশেষ তথ্য আছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানা গেছে। 

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর হাইওয়ে পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকারী বাহিনী একযোগে কাজ করে দুর্ঘটনাকবলিত যান দুটি সরিয়ে নেয়। কিছু সময় যান চলাচল বিঘ্নিত হলেও পরে তা স্বাভাবিক হয়।

হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ইসলামী আন্দোলনের জনসভায় যাওয়ার জন্য বাসটি রিজার্ভ ভাড়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পথমধ্যে দুর্ঘটনার শিকার হয় বাসটি। এতে ঘটনাস্থলে দুজন এবং হাসপাতলে নেওয়ার পরে আরো দুজন মারা যায়।

দুর্ঘটনার পর হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। গাড়ি দুটি আটক করা হয়েছে। তবে বাসের মালিক ড্রাইভার পালিয়েছে।