Image description

বগুড়ার আদমদীঘিতে শামীম পারভেজ সাদ্দামের বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৭টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও থানায় তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা রেকর্ড হয়নি। বিষয়টি সম্প্রতি জানাজানি হলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এদিকে মামলা রেকর্ড না হওয়ার কারণ হিসেবে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান দায়ী বলে অভিযোগ উঠেছে। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম এলাকায়৷

অপরদিকে ঘটনার পর খোদ বাড়ির মালিক শামীম পারভেজ সাদ্দাম পালিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন মামলা হবে এই ভয়ে। বর্তমানে তিনি নিজ এলাকায় বসবাস করছেন। অথচ থানার ওসিরই মামলার প্রতি আগ্রহ নেই বলে অভিযোগের সুরে মন্তব্য করছেন অনেকেই।

এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে?

দুপচাঁচিয়া সেনা ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ সানি জানান, গত ৭ এপ্রিল সোমবার বিকেলে শামীম পারভেজ সাদ্দামের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেশীর বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালানোর অভিযোগ আসে। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দিন রাতে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার পর সেখান থেকে পালিয়ে যায় সাদ্দাম। এরপর স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তার সম্পর্কে আরও জানা যায়, তিনি দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে এলাকাবাসীকে বিভিন্ন সময়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত। পরে তার বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৭টি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। অভিযান শেষে আদমদীঘি থানায় বিষয়টি অবগত করা হলে সেখানে এসে উদ্ধারকৃত ৭টি দেশীয় অস্ত্র জব্দ করে পুলিশ। এরপর শামীম পারভেজ সাদ্দামের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার ও আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পুলিশের নিকট দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শামীম পারভেজ সাদ্দামের বসতবাড়ি থেকে ৭টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার পরেরদিন অস্ত্র আইনে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হলেও অদৃশ্য কারণে মামলাটি থেমে যায়। ঘটনার আড়াই মাস পেড়িয়ে গেলেও পুলিশকে আইনগত কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এদিকে অভিযোগ ওঠা শামীম পারভেজ সাদ্দাম নিজ এলাকায় এসে পুনরায় দিনযাপন করছেন।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বসতবাড়িতে অভিযানে কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিলো তা সেনাবাহিনী আমাদের হস্তান্তর করেছে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর কোন প্রকার আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেনি। আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী এ অস্ত্রগুলো পরিত্যক্ত বলে জিডিটে নোট দেওয়া হয়েছে।

বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা জানান, ঘটনার বিষয়ে জেনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।