Image description

পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলায় চন্ডিপুর ইউনিয়নে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৫০) এবং তার ভাবী মুকুল বেগমকে (৫৫) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় গুরুতর আহত ইউপি সদস্যের স্ত্রী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

এ ঘটনায় রফিকুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চরবলেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৭ জুন) রাত ১১টার দিকে ৫নং চন্ডিপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও সাবেক উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম হাওলাদার (৫০) কে সৌদি প্রবাসী ইউনুস হাওলাদারের নেতৃত্বে ৪-৫ জন লোক অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে এলোপাথারী ভাবে কোপাতে থাকে। এসময় তার চিৎকারে স্ত্রী রেহেনা বেগম (৪২) ও বড় ভাইয়ের স্ত্রী মুকুল বেগম (৪৫) ঘটনাস্থলে আসে। তাকে বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় তাদের হামলায় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম ও তার ভাবি মুকুল বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত রেহানা বেগমকে প্রথমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, প্রবাসী ইউনুসের স্ত্রীর সাথে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের ঘনিষ্ঠতা ছিল। এ নিয়ে দীর্ঘদিন দুই পরিবারের সাথে বিরোধ ছিল। আর একারণেই হত্যাকা-টি ঘটানো হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গুরুতর আহত রেহেনা বেগম জানান, রাতে হঠাৎ করে পার্শ্ববর্তী ইউনুস সহ আরো ৪-৫ জন তাদের বাড়িতে এসে অতর্কিত হামলা করে তার স্বামীকে এবং ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর তাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। ইউনুস এর সাথে তাদের দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ ছিলো। সে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।

ইন্দুরকানী থানার ওসি মোঃ মারুফ হোসেন জানান, পরকীয়ার কারণে এঘটনা ঘটতে পারে। লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।

রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পিরোজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসরিন জাহান। তিনি জানান, “ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”