
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিন ৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। গতকাল বুধবার এ দিবস ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পরিপত্র জারি করেছে।
দিবসটির বিরোধিতা করে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। ওই স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে, জুলাই নিয়ে একাত্তরের মতো আরেকটা চেতনা ব্যবসা আমরা হইতে দেব না।
জুলাইয়ের নামে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী পূজা চলবে না। ৮ আগস্টে কোনো ‘নতুন বাংলাদেশ’ হয়নি। এদিন আমাদের বিপ্লব বেহাত হইছে। এখন বরং আমাদেরকে দ্বিতীয় বিপ্লবের দীর্ঘ প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।
দিবস হবে শুধু একটা। ঐতিহাসিক ৩৬ জুলাই। যা আমাদের জাতীয় মুক্তি দিবস। অথবা সেকেন্ড রিপাবলিক/দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস।
যে নামেই ডাকেন। আসল কাজ বাদ দিয়ে এইসব দিবস-ফিবসের এক পয়সাও দাম নাই। এগুলা স্রেফ পলিটিক্যাল স্ট্যানবাজি। ওই স্ট্যাটাসে আরো বলা হয়েছে, আমাদের আসল কাজ হলো বিচার, সংস্কার আর আমাদের বর্ষা বিপ্লবের সাংবিধানিক স্বীকৃতি। অর্থাৎ রাষ্ট্র কর্তৃক জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ।
যা হবে আমাদের মুক্তি ও ইনসাফের ঐতিহাসিক ইশতেহার।
Comments