Image description

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখলসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে কুদ্দুস মিয়া ও মেহেদী নামের দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত আট জন আহত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।

শনিবার (২১ জুন) রাত ৯টায় বন্দর উপজেলার শাহী মসজিদ ও সিরাজদৌলা ক্লাব মাঠ পৃথক দুটি পাশ্ববর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় স্থানীয়রা জানান, বন্দর রেললাইন অটোস্ট্যান্ড দখল ও আদিপত্য বিস্তার নিয়ে গত বেশ কয়েক দিন যাবত সাবেক কাউন্সিলর ও বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা হান্নান সরকারের সমর্থক বাবু-মেহেদী এবং সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশার সমর্থক রনি-জাফরের পক্ষের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় মারামারি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ চলে আসছিল।

এর পরবর্তীতে গত রাতে শাহী মসজিদ এলাকায় মেহেদীর নেতৃত্বে একটি দল জাফরের সমর্থকদের ওপর দূর্ধর্ষ হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। একপযার্য়ে মেহেদীর লোকজন কুদ্দুসকে ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। কুদ্দুস হাফেজীবাগ এলাকার বাসিন্দা।

এ হত্যা ঘটনার পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে বন্দর সিরাজুদ্দৌলার ক্লাব মাঠ দিয়ে মেহেদী ও তার লোকজন যাওয়ার পথে তাদেরকে দেখে রনি ও জাফর গ্রুপের লোকজন ধাওয়া দিয়ে মেহেদীকে ধরে মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয়।

পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুত্ব আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শহরের খানপুর ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। 

এ বিষয়ে বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, অটো ষ্ট্যান্ড দখলসহ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে উভয়পক্ষের ছুরিকাঘাতে কুদ্দুস ও মেহেদী নামে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। 

সকালে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ডিবি) তারেক মেহেদী সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।