নীলফামারীতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে নীলফামারীতে মানববন্ধন হয়েছে শহীদ ও নির্যাতীত পরিবারের ব্যানারে। রোববার সকালে (২২ জুন) জেলা জজ আদালতের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শহীদ ও নির্যাতিত পরিবারের সদস্য ছাড়াও বিএনপি, জামায়াত ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন; জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক আন্তাজুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট আল ফারুক আব্দুল লতিফ, জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাডভোকেট আল মাসুদ চৌধুরী, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারী এ্যাডভোকেট আনিসুজ্জামান আজাদ ও সহকারী সেক্রেটারী এ্যাডভোটে মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী, সদর উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী আহমেদ রায়হান, ওয়ারিয়র্স অব জুলাই নীলফামারীর সদস্য সচিব মোস্তফা মোহাম্মদ শ্রেষ্ঠ, ইসলামী ছাত্র শিবির নীলফামারী শহর শাখার সভাপতি শফিকুল ইসলাম এবং শহীদ মহিদুল ইসলামের ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম ও শহিদ আতিকুল ইসলামের ভাই আব্দুল ওয়াদুদ বক্তব্য দেন মানববন্ধন সমাবেশে।
বক্তারা উল্লেখ করেন, রামগঞ্জের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত নেতা কর্মীদের পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়। ভোটারবিহীন নির্বাচনের এমপি আসাদুজ্জামান নূরের প্রত্যক্ষ মদদে এই হত্যাকান্ড ঘটে। শুধু চারজনকে শহীদ করে তারা ক্ষান্ত ছিলো না অসংখ্য নেতাকর্মীর উপর চালানো হয়েছিলো অমানবিক নির্যাতন। পরিবারগুলো শেষ হয়ে গেছে আজ। অথচ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
শহীদ ছাত্রশিবির নেতা মহিদুল ইসলামের ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন, ফ্যাসিস্ট আমলে বিএনপি-জামায়াত নেতা কর্মীদের উপর নেমে এসেছিলো নির্যাতনের খড়গ। বাসায় থাকতে পারে নি বছরের পর বছর। হত্যা করা হয়েছিলো।
আমার ভাই শহীদ হলো অথচ তারা ঘুরে বেরাবে এটা হবে না, অবিলম্বে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
Comments