বাড়ির রাস্তায় বেড়া ও গাছ রোপণ, ৯ দিন ধরে অবরুদ্ধ ৭ পরিবার

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বাড়ির চলাচলের রাস্তায় বেড়া ও গাছ রোপণ করায় ৯ দিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন ৭টি পরিবার। এমনটা অভিযোগ উঠেছে কালাম শেখ নামে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। উপজেলার বালিপাড়া গ্রামে সরেজমিনে এমন তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের বাঁধা দেন অভিযুক্ত কালাম শেখের পরিবারের সদস্যগণ।
বিষয়টি আজ রোববার (২২ জুন) নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বাবুল।
অবরুদ্ধ পরিবার গুলো হলেন, উত্তর বালিপাড়া গ্রামের মোঃ সুলতান শেখ, মোঃ মজিদ শেখ, মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ ইব্রাহিম শেখ, জামাল শেখ, মোঃ লেহাজ মাতুব্বর ও মোঃ দুলাল মাতুব্বর। এরা আগে গত শনিবার (১৪ জুন) জমি নিয়ে বিরোধের কারণে দু'পক্ষের মারামারির ঘটনায় ইন্দুরকানী থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ করেন।
সহকারী শিক্ষক মাওলানা. মোঃ ইব্রাহিম শেখ বলেন, আমি একটি মসজিদের ইমাম এবং মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক। আজ ৯ দিন ধরে চলাচলের রাস্তাটি আটকে রাখার কারণে আমার মসজিদের নামাজ পড়াতে এবং মাদ্রাসায় যেতে সমস্যা হচ্ছে। এই চলাচলের রাস্তাটি খুলে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।
কান্না জড়িত কন্ঠে খাদিজা বেগম বলেন, এই চলাচলের রাস্তাটি দীর্ঘ ৫০ বছরের পুরনো। এই রাস্তা দিয়ে আমরা সাতটি পরিবার চলাচল করি। কামাল শেখ অন্যায় ভাবে ৯ দিন ধরে এই রাস্তাটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এবং রাস্তা থেকে ইট উঠিয়ে কলা ও সুপারি গাছ রোপণ করেছে। আমরা প্রশাসনের কাছে কামালের শাস্তি দাবী করছে।
ভ্যান চালক জামাল শেখ বলেন, আমি পেশায় একজন ভ্যানচালক। রাস্তাটি অবরুদ্ধ করে রাখায়, আমি ভ্যান গাড়ি নিয়ে বের হতে পারি না। আমার ফ্যামিলি অনাহারে দিন কাটাচ্ছে, আমি একটি এনজিও থেকে লোন নিয়ে গাড়িটি ক্রয় করেছি। আমি গাড়ি চালাতে না পারার কারণে কিস্তির টাকাও পরিশোধ করতে পারছিনা। চলাচলের রাস্তাটি খুলে দেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী করছি।
অভিযুক্ত মোঃ কামাল শেখের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি। মিমাংসা হলে রাস্তা খুলে দেব।
বালিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, বিষয়টি নিয়ে আজ মিমাংসার জন্য বসার কথা রয়েছে। মিমাংসার পর চলাচলের রাস্তা খুলে দেয়া হবে। এবং জমি জমার বিষয়ও সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মারুফ হোসেন জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। গ্রাম্য আদালতে মিমাংসার চেষ্টা চলছে। সমাধান না হলে মামলা নেয়া হবে।
Comments