
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে প্রায় ২০ জন বাংলাদেশি নাগরিক তেহরানে আটকা পড়েছেন। এদের অধিকাংশই কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য ইরানে এসেছিলেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ওয়ালিদ ইসলাম জানিয়েছেন, কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য আসা এসব বাংলাদেশি তেহরানের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছিলেন। সংঘাত শুরু হওয়ার পর তাদের হাসপাতাল এলাকায় থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, কারণ হাসপাতালকে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ মনে করা হয়েছিল। তবে গত পরশুদিন হাসপাতালেই হামলার ঘটনা ঘটলে রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ওয়ালিদ ইসলাম বলেন, "এ সময় হাসপাতাল নিরাপদ হবে ভেবেই আমরা এই পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু গত পরশুদিন হাসপাতালেই আক্রমণ হয়েছে। এ ঘটনায় রোগীদের সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।"
তিনি আরও জানান, আটকা পড়া বাংলাদেশিদের শান্ত রাখতে তিনি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন এবং তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
এদিকে, বেড়াতে এসেও অনেক বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন। তাদেরই একজন বাংলাদেশি চিকিৎসক ইকরাম আর আজিজুর রহমান, যার স্ত্রী একজন ইরানি নাগরিক। গত মে মাসে তারা ইরানে আসেন এবং গত ১৫ জুন তাদের বাংলাদেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হওয়ায় তারা ফিরতে পারেননি।
ডা. রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, "১৫ তারিখে ফেরা সম্ভব হয়নি। কবে ফিরতে পারবো, সেটাও বুঝতে পারছি না।"
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, পড়াশোনা, ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি বা অন্যান্য কারণে বর্তমানে প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশি ইরানে অবস্থান করছেন। চলমান সংঘাতের কারণে তাদের সবাই এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
Comments