Image description

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি কোথায় লুকিয়ে আছেন তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানে, তবে এখনই তাকে হত্যা করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন, যা আন্তর্জাতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

ট্রাম্প তার পোস্টে লিখেছেন, "আমরা জানি সেই তথাকথিত সুপ্রিম লিডার (আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি) কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি সহজ লক্ষ্য, কিন্তু সেখানে তিনি নিরাপদ- আমরা তাকে সরিয়ে (হত্যা করে) ফেলবো না, অন্তত আপাতত নয়।" তিনি আরও যোগ করেন, "কিন্তু আমরা চাই না বেসামরিক নাগরিকদের বা আমেরিকান সেনাদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ হোক। আমাদের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে। এ বিষয়ে আপনার মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ!"

আরেকটি পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, "আমরা এখন ইরানের আকাশসীমা পূর্ণাঙ্গ ও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি।" তিনি লেখেন, "ইরানের ভালো মানের স্কাই ট্র্যাকার ও অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম ছিল এবং তা ছিল প্রচুর পরিমাণে। কিন্তু সেগুলো আমেরিকায় তৈরি, পরিকল্পিত ও প্রস্তুতকৃত সরঞ্জামের সঙ্গে তুলনাই চলে না। যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এটা কেউই ভালোভাবে করতে পারে না।"

এদিকে, সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে পাঁচটি সূত্র জানিয়েছে যে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ৮৬ বছর বয়সী আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ক্রমেই একা হয়ে পড়ছেন। সাম্প্রতিক ইসরায়েলি বিমান হামলায় তার সামরিক ও গোয়েন্দা উপদেষ্টাদের নিহত হওয়ার পর তার সিদ্ধান্ত গ্রহণের অভ্যন্তরীণ বলয় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ছিলেন ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান হোসেইন সালামি, ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির প্রধান আমির আলি হাজিজাদেহ এবং গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ কাজেমি। তারা সবাই খামেনির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপদেষ্টাদের মধ্যে ছিলেন। সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঝুঁকি এখন অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।

খামেনি ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের আগেই কারাবরণ করেন এবং পরে এক বোমা হামলায় গুরুতর আহত হন। ১৯৮৯ সালে সর্বোচ্চ নেতার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি ইরানের ইসলামি শাসনব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে অটল থেকেছেন এবং পশ্চিমা শক্তির প্রতি গভীর অবিশ্বাস প্রকাশ করে আসছেন।