
আগামী ২৬ জুন থেকে সারা দেশে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৫। এবার মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেবেন, যার মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৮৮২ জন কমেছে, যা গত বছর ছিল ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৩ জন। শনিবার (১৪ জুন) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড এই তথ্য নিশ্চিত করেছে এবং পরীক্ষার জন্য বিশেষ নির্দেশনাও প্রকাশ করেছে।
শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে ও সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুবিধার্থে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড নিম্নলিখিত নির্দেশনাগুলো দিয়েছে:
স্বাস্থ্যবিধি: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে মাস্ক পরিধান করে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে হবে।
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
প্রথমে বহুনির্বাচনী (MCQ) এবং পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
৩০ নম্বরের MCQ পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার জন্য ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট বরাদ্দ।
ব্যবহারিক বিষয়-সংবলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের MCQ-এর জন্য ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার জন্য ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট সময় পাওয়া যাবে।
MCQ এবং সৃজনশীল উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় পর্যন্ত পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে চলবে।
সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে অলিখিত উত্তরপত্র ও MCQ OMR শিট বিতরণ করা হবে।
সকাল ১০টায় MCQ প্রশ্নপত্র এবং সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে MCQ উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। (২৫ নম্বরের MCQ পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে)।
দুপুর ২টা থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষার ক্ষেত্রে: দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে অলিখিত উত্তরপত্র ও MCQ OMR শিট বিতরণ করা হবে। দুপুর ২টায় MCQ প্রশ্নপত্র এবং দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে MCQ উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। (২৫ নম্বরের MCQ পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে)।
পরীক্ষার্থীদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তাদের রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি OMR ফরমে সঠিকভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে। মার্জিনের মধ্যে লেখা বা উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনী এবং ব্যবহারিক অংশে (যদি প্রযোজ্য হয়) পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্রে উল্লিখিত বিষয় বা বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। অন্য কোনো বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে না।
কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ কলেজ/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করা হবে।
পরীক্ষার্থীরা সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে, তবে প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার নিষিদ্ধ।
আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেলেও পরীক্ষা পেছানোর মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। বোর্ড কর্তৃপক্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
Comments