
এবার নতুন করে ইরানের তাবরিজ শহরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে 'অপারেশন রাইজিং লায়ন'-এর অধীনে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় ব্যাপক হামলার পর আবার এই হামলা চালানো হয়।ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম'র বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে। তবে, এই হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
এর আগে ইসরায়েল দাবি করে, তাদের হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান হোসেইন সালামি, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি এবং খাতাম-আল-আনবিয়া হেডকোয়ার্টারের প্রধান গোলাম আলি রাশিদ নিহত হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা তাসনিম আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলের এই হামলায় ইরানের ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন। নিহত বিজ্ঞানীরা হলেন: আবদুলহামিদ মিনুচেহর, আহমদরেজা জুলফাগারি, সৈয়দ আমিরহোসেইন ফাকিহি, মোতলাবিজাদে, মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি ও ফেরেইদুন আব্বাসি।
তেহরানে হামলার জবাবে ইরানও ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালাতে পারে, এমন আশঙ্কায় ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জেরুজালেমের সুপারশপগুলো থেকে খাদ্য ও পানি দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, মানুষ মজুত করার জন্য হুমড়ি খেয়ে কিনছে। একই কারণে তেল আবিবের রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে গেছে।
শুক্রবার রাত ৩টার দিকে সাইরেনের শব্দ ও মোবাইলের সতর্কবার্তায় ইসরায়েলের জনগণের ঘুম ভাঙে। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে জানানো হয়, তাদের সামনে একটি গুরুতর হুমকি রয়েছে এবং সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রের কাছাকাছি স্থানে অবস্থান করতে বলা হয়।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, সারা দেশে রক্ত সংগ্রহের কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, যেসব রোগী কিছুটা সুস্থ এবং বাড়ি ফিরে যাওয়ার মতো অবস্থায় আছেন, তাদেরকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে শয্যা সংকট না হয়।
অন্যদিকে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পশ্চিম তীরে অবস্থিত সব ফিলিস্তিনি শহরে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
এইসব প্রস্তুতির মূল কারণ হলো ইরানের সম্ভাব্য পাল্টা হামলা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরান থেকে প্রায় ১০০টি ড্রোন ইতোমধ্যেই ইসরায়েলের দিকে রওনা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন চরম উত্তেজনাপূর্ণ।
Comments