Image description

মাদারীপুরে বিয়ে বাড়িতে নাচগান নিয়ে হাতাহাতির জের ধরে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ভাংচুর করা হয় দোকান ও বসতবাড়ি। এতে আহত হয়েছে অন্তত পক্ষে ১৩ জন। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়ার ভাঙ্গা ও উত্তর খাগছাড়া দুই গ্রামের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত ১১ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম।

জানা যায়, বুধবার (১১ জুন) রাতে মোস্তফাপুর ইউনিয়নের উত্তর খাগছাড়া গ্রামের কাওসার তালুকদারের মেয়ের বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে নাচতে যায় মোস্তফাপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাগর বেপারী (সাগর মেম্বার) গ্রুপ ও উত্তর খাগছাড়া গ্রামের হাকিম কাজী গ্রুপের দুই দল কিশোর। এসময় উপস্থিত মেয়েদের উত্যক্ত করার অভিযোগে ওই দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেলে উভয় পক্ষের লোকজনসহ গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উত্তর খাকছাড়া নতুন বাজারে শালিস মিমাংসার জন্য বসেন। এ শালিস মিমাংসার মধ্যেই উভয় পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে যায়। একপর্যায়ে উত্তর খাগছাড়া ও সুচিয়ার ভাঙ্গা দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় বেশ কয়েকটি ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। একই সঙ্গে ভাংচুর করা হয় বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও ঘরবাড়ি। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ ঘটনায় অন্তত পক্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন। অধিকাংশ আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন- সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সুচিয়া ভাঙ্গা গ্রামের মোজাম্মেলের ছেলে আলামিন সন্ন্যামাত, আব্দুল রব ঢালীর ছেলে জামাল ঢালী, ছত্তার ঢালীর ছেলে অলিল ঢালী, সিদ্দিক সন্ন্যামাতের ছেলে শাহ আলম সন্ন্যামাত, একই ইউনিয়নের উত্তর খাগছাড়া গ্রামের কদম চৌকিদারের ছেলে রেজাউল চৌকিদার, হাজী মোতালেব তালুকদারের ছেলে কাওয়াসার তালুকদার, ছোবাহান শিকদারের কামাল হোসেন, বাদল শিকদারের ছেলে সাব্বির শিকদার, শুভ কাজী, রোমান কাজী, আরিফ কাজী, ইব্রাহিম কাজীসহ অন্তত ১৩ জন আহত হন।

এ ব্যাপারে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাষ্কর সাহা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।