
ইসরায়েলের চালানো হামলায় ইরানের ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ইরানের বার্তাসংস্থা তাসনিমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। এই হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং রেভল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার ইন চিফসহ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
নিহত পরমাণু বিজ্ঞানীরা হলেন: আব্দুল্লাহ মিনৌচেহর, আহমাদ রেজা জলফাঘারি, সায়েদ আমির হোসেন ফাকহি, মোতলাবিজাদেহ, ফেরেদুন আব্বাসি এবং মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি।
এর আগে ফারেদুন আব্বাসি এবং মোহাম্মদ মেহেদি তেহরানচির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ফারেদুন আব্বাসি ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার (এইওআই) সাবেক প্রধান ছিলেন এবং ২৫ বছর ধরে দেশটির পারমাণবিক শক্তিবিষয়ক সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১০ সালে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হলেও সে যাত্রায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। নিহত আরেক বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মেহেদি তেহরানচি তেহরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বাকি বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল 'অপারেশন রাইসিং লায়ন' নামে ইরানে এই হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ব্যর্থ করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
শুক্রবার(১৩ জুন) ভোরে ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন স্থাপনায় পাঁচ ধাপে হামলা চালায়। অজ্ঞাত এক সামরিক কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, ইরানে শত শত হামলা চালানো হয়েছে এবং অন্তত আটটি শহরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পাওয়া বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরানের ছয়টি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের চালানো এসব প্রাণঘাতী হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেহরান। এই হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Comments