
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চর বিশ্বাস ইউনিয়ন বিএনপির অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের জের ধরে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া বাজারে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার পর রাত তিনটার দিকে যৌথবাহিনী নুরুল হক নূরকে উদ্ধার করে গলাচিপা নিয়ে আসে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। এদিকে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদ গলাচিপা পৌর এলাকায় প্রায় একই সময় বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেয়। এরপর ১৪৪ ধারা জারি করে মাইকিং করেন গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহামুদুল হাসান।
ঘোষণায় বলা হয়, গলাচিপা উপজেলাধীন চরবিশ্বাস ও বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের সংঘটিত সাম্প্রতিক সংঘর্ষ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। উভয়পক্ষের যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণার প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতিসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে।
ঘোষণায় ইউএনও বলেন, আমি মাহমুদুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আমার ওপর অর্পিত ক্ষমতাবলে জনগণের জানমাল এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে গলাচিপা পৌরসভা ও এর আশেপাশের এলাকায় শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ৮টা থেকে আগামী রবিবার (১৫ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ১৪৪ ধারা জারি করলাম।
তিনি আরো বলেন, উক্ত সময়ে উল্লিখিত এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজামায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও সব রকম দেশীয় অস্ত্র ইত্যাদি বহনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় ৫ বা ততোধিক ব্যক্তির অবস্থান কিংবা চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করলাম। উল্লিখিত আদেশ লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Comments