Image description

সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে সহযোগিতার কোনো এখতিয়ার জাতিসংঘের নেই। এমন মত দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, সংস্কার দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন অফিস হলে, তা বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে। এ ছাড়া, বিনিয়োগ হারানোসহ বৈশ্বিক নানা সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবার শঙ্কা তৈরি হবে।

ফিলিস্তিন, সিরিয়া, কম্বোডিয়া ও গুয়াতেমালাসহ মানবাধিকার ও জাতিগত সংঘাতে চরম বিপর্যস্ত ১৯ দেশে রয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয়। তবে দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশে এর অস্তিত্ব নেই। 

ঢাকায় খুব শিগগিরই জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিস খোলা হচ্ছে বলে সম্প্রতি জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস। দ্রুত এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হতে যাচ্ছে। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, অস্থায়ী এ দপ্তরের মূল কাজ হবে সংস্কারের সুপারিশ বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করা। যদিও এ ধরনের কোনো এখতিয়ার জাতিসংঘের নেই বলে জানান বিশ্লেষকেরা। 

ভারপ্রাপ্ত পরাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘তাদের মূল কাজ হবে, সংস্কার কমিশনগুলো যে  রিপোর্টগুলো সংস্কারের জন্য দিয়েছে। সেগুলো প্রয়োগ করার জন্য সাহায্য করতে কাজ করবে তারা।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘এটা তাদের এখতিয়ারই নেই। অবমাননা হবে, তারা যদি এটা করতে চায়। সংস্কার যা, তা আমাদের জনগণকেই করতে হবে। অস্থায়ী বলে কিছু নেই, একবার তারা ঢুকে পড়লে তাদের সরানো মুশকিল হয়ে যাবে। একেবারেই ঘরোয়া বিষয়, জাতিংসঘের কিন্তু সেই ম্যান্ডেট নেই।’ 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো দেশে মানবাধিকারের চরম অবনতি হলেই জাতিসংঘের এ ধরনের কার্যালয় চালু করা হয়। তাই এমন উদ্যোগ বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করবে। 

জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের দপ্তর খোলার সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনায় সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্লেষকেরা। এ বিষয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে বড় ধরনের সংলাপের প্রয়োজন বলেও মনে করেন তাঁরা।