Image description

ইলন মাস্কের স্টারলিংক ইন্টারনেটে নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও কর্মস্থল হোয়াইট হাউজের যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন।

কিন্তু তাঁদের কথা উপেক্ষা করে হোয়াইট হাউজ কমপ্লেক্সে স্থাপন করা হয় স্টারলিংকের ইন্টারনেট সংযোগ। বিষয় সম্পর্কে অবগত তিনজন ব্যক্তির বরাত দিয়ে গতকাল শনিবার (৭ জুন) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন দৈনিক দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। 

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মধ্যে দেখা দিয়েছে দ্বন্দ্ব, অবসান হয়েছে এক সময়ের গভীর বন্ধুত্বের। এই প্রেক্ষাপটেই এবার সামনে এল স্টারলিংকের নিরাপত্তা ঝুঁকি সম্পর্কিত চাঞ্চল্যকর এই তথ্য।  

দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন বলছে, হোয়াইট হাউজের যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা স্টারলিংক ইন্টারনেটের সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু ইলন মাস্কের ব্যয় সঙ্কোচন বিভাগের (ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি) কর্মকর্তা ও ট্রাম্প ঘনিষ্ঠরা হোয়াইট হাউজ বিশেষজ্ঞদের এমন আপত্তি কানেই তোলেননি।

বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ উপেক্ষা করেই হোয়াইট হাউজ কমপ্লেক্সে স্থাপন করা হয় স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংক। উল্লেখ্য, স্টারলিংক হচ্ছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্সের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

এ সম্পর্কে অবগত তিন জন ব্যক্তির বরাত দিয়ে দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, হ্যাকিং ও তথ্য ফাঁস রোধে হোয়াইট হাউজের নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থাকে এড়িয়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইট সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।

সম্প্রতি ট্রাম্পের কর ও ব্যয় সম্পর্কিত বাজেট বিল নিয়ে মাস্কের সঙ্গে তৈরি হওয়া দূরত্ব গত বৃহস্পতিবার রুপ নেয় ব্যক্তিগত আক্রমণে। দু’জনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও হুমকির পর গতকাল ট্রাম্প এনবিসি নিউজকে বলেছেন, মাস্কের সাথে তাঁর সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে। ট্রাম্প-মাস্ক ভাতৃপ্রতিম সম্পর্কের অবসানের পর পরই প্রকাশ্যে এল স্টারলিংক ইন্টারনেটের নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি।