Image description

সভায় যোগ দিতে সরকারি গাড়িতেই রাজশাহী এসেছিলেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা। সভা শেষ করে সোজা হাটে গিয়ে তিনি কোরবানির গরু কিনেছেন। তারপর সেই সরকারি গাড়িতেই তুলে নিয়ে গেছেন গরু। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) এই ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী অঞ্চলে আমের কেনাবেচার সময় আড়তদারদের বাড়তি ওজন নেওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে একটি সভা ছিল। এ সভায় এসেছিলেন বাগাতিপাড়ার ইউএনও হা-মীম তাবাসসুম প্রভা। তিনি এখন বাগাতিপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনারেরও (ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।

তাই উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) ডাবল কেবিন পিকআপ নিয়েই তিনি সভায় আসেন। সভা শেষ হয় দুপুরে। এরপর রাজশাহীর সিটিহাটে গিয়ে তিনি কোরবানির জন্য একটি গরু কেনেন। সেই গরু তিনি গাড়ির পেছনের কেবিনে তুলে নেন। আর সামনের কেবিনে বসেন ইউএনও। এভাবে তিনি সরকারি গাড়িতে রাজশাহী থেকে গরু নাটোর নিয়ে যান।

জানতে চাইলে ইউএনও হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বলেন, ‘আমার বাগাতিপাড়া উপজেলায় কোনো পশুহাট নেই। আমাকে বাগাতিপাড়াতেই ঈদ করতে হচ্ছে। একটা কোরবানি তো দিতে হবে। আশপাশে খোঁজ নিয়েও আমি গরু পাইনি। তাই মিটিং শেষ করে আসার সময় দুই থেকে আড়াই মণ ওজনের মাঝারি আকারের একটা গরু রাজশাহী থেকেই কিনে এনেছি।’

সরকারি গাড়িতে গরু ওঠানো ঠিক হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তো গাড়িতে অবৈধ কিছু তুলিনি। একটা গরু, গাড়ির পেছনের কেবিনে জায়গা ছিল। তাই তুলে নিয়েছি। আমরা তো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় অনেক কিছুই জব্দ করে গাড়ির ওই জায়গাটাতে তুলে আনি। কিন্তু গরু আনার কারণে নানা কথা শুরু হয়েছে।’

তবে গাড়িতে গরু পরিবহনের কাজটি ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক না, এটা নিন্দনীয়। এটা আমরা আশা করি না। এ বিষয়ে একটু খোঁজখবর নেব। ভবিষ্যতে কেউ যাতে এমন না করেন।’