
লম্বা ছুটির পরও ঈদযাত্রায় ভোগান্তিতে ঘরমুখো লাখো মানুষ। যানজটের কারণে অধিকাংশ বাসই রাজধানী থেকে নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়েনি। যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়ারও রয়েছে অভিযোগ। এদিকে, ট্রেনযাত্রায় ভিড়ের কারণে ছাদে উঠেই গন্তব্যে রওনা হন অনেক যাত্রী। কয়েকটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে কিছু রুটে যাত্রীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে ১০ দিন ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। স্বজনদের সাথে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমাতে লম্বা এই ছুটি। তবে তারপরও এর মেলেনি সুফল।
ঈদের একদিন আগে শুক্রবার ভোর থেকেই গাবতলীতে ভিড় করেন যাত্রীরা। মহাসড়কে যানজটের কারণে সময় মতো টার্মিনালেই পৌঁছাতে পারেনি অনেক বাস। এতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হয় যাত্রীদের।
অপেক্ষার ভোগান্তির পাশাপাশি বাসে বাড়তি ভাড়া আদায়েরও অভিযোগ করেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।
গাবতলীতে অপেক্ষমাণ একজন যাত্রী বলেন, ‘এখান থেকে রংপুর হচ্ছে ৮০০ বা ৮৭০ টাকা ভাড়া, যেটা আমরা অনলাইনে কাটি। কিন্তু এখানে চাচ্ছে ১ হাজার ৬০০, কেউ চাচ্ছে ১ হাজার ৮০০ কেউবা ২ হাজার। যারা বেশি চাচ্ছে তারা আবার জোর গলায় বলছে, হলে যান না হলে নাই। এখন আমাদের তো কিছু করার নেই।’
ট্রেনের যাত্রীদেরও শিডিউল বিপর্যয়ে পোহাতে হয় দুর্ভোগ। দুইটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয় এক থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত।
টিকিট না পেয়ে অনেক যাত্রীই উঠে পড়েন ট্রেনের ছাদে। ঝুঁকি নিয়ে রওনা হন গন্তব্যে। ভিড়ের কারণে ছাদে ওঠায় ছাড় দেওয়ার কথা জানায় রেল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, ভোরে উপচে পড়া ভিড় থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীর চাপ কমে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে।
Comments