Image description

দেশে প্রথমবারের মতো ঈদুল আজহাতে টানা ১০ দিনের সরকারি ছুটি পেয়েছেন চাকরিজীবীরা। কিন্তু অন্যান্যবারের মতো সেই ছুটি কাটাতে কক্সবাজারে তেমন পর্যটকের ঢল নামছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বর্ষা মৌসুমের আগেই টানা বৃষ্টি শুরু হওয়ায় এখনও সমুদ্র শহর কক্সবাজারের হোটেল মোটেল ও কটেজের ৭০ শতাংশ কক্ষ খালি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পর্যটনসেবীরা। এরপরও ঈদের দুই তিনদিন পরে পর্যটক বাড়তে পারে এমন আশায় বুক বেঁধে কক্সবাজারকে প্রস্তুত করেছেন প্রশাসন।

জেলা প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও পর্যটনসেবীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, কক্সবাজার শহরে পর্যটকের রাত্রিযাপনের জন্য ছয়’শর কাছাকাছি হোটেল মোটেল ও কটেজ এবং ফ্লাট রয়েছে। ঈদুল আজহাতে আগত পর্যটকদের বরণে এসব হোটেল মোটেল নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। তবে এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যটকের সাড়া মেলেনি।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বর্ষা মৌসুম হওয়ায় অন্যান্যবারের চেয়ে এবারের ঈদের ছুটিতে এখনও পর্যন্ত আশানুরূপ পর্যটকের সাড়া মেলেনি। আমাদের সমিতির আওতাভুক্ত হোটেল মোটেলের এখনও ৩০ শতাংশ কক্ষ বরাদ্দ হয়েছে। 

এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ভ্রমণকে আনন্দমুখর করতে প্রতিবারের মতো এবারও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। এ বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাশ বলেন, এবারের ঈদে কক্সবাজারের তিন লাখের মতো পর্যটকের আগমন ঘটবে। আমরা তাদের ভ্রমণকে আনন্দমুখর করতে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। ওয়াচ টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণের পাশপাশি সৈকতের প্রতিটি গোলঘরে পুলিশ অবস্থান করবে। একদিকে মোবাইল টিম অন্যদিকে সাদা পোশাকে পুলিশ সমুদ্র সৈকতে ঘুরবেন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস ইনতেসার নাফি বলেন, কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে অতিরিক্ত ভাড়া না নেয় এবং রেস্তোরাঁয় খাবারের মূল্য তালিকা টানানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এসবের বাস্তবায়ন করতে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।