Image description

হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় ৮ জিলহজ থেকে। এদিন সকাল বেলা হাজিরা নিজ নিজ আবাস্থল থেকে ইহরাম বেঁধে মিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। এ দিন তারা মিনায় জোহর, আসর, মাগরিব এবং এশার নামাজ আদায় করেন। এরপর ৯ জিলহজ হজের অন্যতম প্রধান রুকন ‘ওকুফে আরাফাহ’ পালনের জন্য হজযাত্রীরা আরাফার ময়দানে যাবেন।

৯ জিলহজ হজের খুতবা শোনার পর হজযাত্রীরা জোহর ও আসরের নামাজ একত্রে আদায় করবেন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করবেন।

মাগরিবের আজান দেওয়ার পর কোনো নামাজ না পড়ে হজযাত্রীরা আরাফাহ থেকে মুজদালিফার দিকে রওনা হবেন। সেখানে মাগরিব ও এশার নামাজ একসাথে আদায় করবেন।

মুজদালিফায় হজযাত্রীরা শয়তানকে মারার জন্য কঙ্কর সংগ্রহ করবেন এবং খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করবেন। ১০ জিলহজ তারিখে ওকুফে মুজদালিফা শেষে তারা রমি (শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ) করার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।

এরপর তারা বড় শয়তানকে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন এবং কোরবানি করবেন। এরপর মাথা মুণ্ডিয়ে বা চুল ছেঁটে ইহরাম খোলার মাধ্যমে ইহরামমুক্ত হবেন।

১১ জিলহজ হজযাত্রীরা ছোট, মাঝারি ও বড় তিনটি শয়তানকে সাতটি করে কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন। রমি শেষে তারা কাবা শরিফে ‘তাওয়াফে জিয়ারত’ করবেন এবং এরপর সাফা-মারওয়া সাঈ সম্পন্ন করবেন।

১২ জিলহজ তারিখে সূর্য ঢলার পর তিনটি শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ করা হবে। ১৩ জিলহজ রমি জামেরাত শেষে হজযাত্রীরা মিনা থেকে তাদের বাসস্থানে ফিরে যাবেন।