Image description

ঢাকার কেরানীগঞ্জে আব্দুল্লাপুর এলাকায় মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান পরিচালনা করেছে কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। তবে অভিযোগ রয়েছে লিচু মিয়া মার্কেটের সামনে ঈদুল আযহা উপলক্ষে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশে ইজারা দেয়া অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারাদারকে বাড়তি সুবিধা দিতে হঠাৎ এই উচ্ছেদে অভিযান চালানো হয়েছে।

সোমবার (৩ জুন) বিকেলে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় কেরানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (রাজস্ব) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।

জানা গেছে, গত ২১মে কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৮টি অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা দেয়া হয়। এর মধ্যে আব্দুল্লাহপুরের রসুলপুর মাদ্রাসা মাঠ এলাকায় ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় একটি পশুর হাটের ইজারা দেয়া হয়। এর কয়েকদিন পর ২৯ শে মে রসুলপুর হাটের ২০০ মিটারের মধ্যে মহাসড়কের পাশে অস্থায়ী পশুরহাটের ইজারা না দেয়ার সরকারি নির্দেশনা  উপেক্ষা করে ঢাকা মাওয়া মহাসড়কের পাশে লিচু মিয়া মার্কেটের সামনে আরো একটি হাট সহ তিনটি অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমোদন দেয়া হয়।

মহাসড়কের পাশে পশুর হাট না করতে এবং যেহেতু রসুলপুর হাটের ইজারার লভ্যাংশের টাকা মাদ্রাসার এতিমদের লিল্লাহ্ বোর্ডিং এর কাজে ব্যবহৃত হয়,তাই রসুলপুর হাটের ২০০ মিটারের মধ্যে আব্দুল্লাহপুর লিচু মিয়া মার্কেটের সামনে অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা বাতিলের প্রতিবাদে স্থানীয় এলাকাবাসী মানববন্ধন পালন করে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক অবরোধ করে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে হাট না বসানোর আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নিলেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিচুমিয়া মার্কেটের সামনের হাট বহাল রাখা হয়।নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক লোক জানিয়েছে, হাটের পরিধি বাড়াতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহাসড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। 

স্থানীয় ব্যবসায়ী রনি মিয়া জানান, আমরা এই এলাকায় প্রায় দীর্ঘ ১০ বছর যাবত অস্থায়ী দোকান পাট তুলে ব্যবসা স্থানীয় নেতাকর্মী ও পুলিশকে ম্যানেজ করে ব্যবসা পরিচালনা করছি। এতদিন কোন অভিযান করা হয়নি, আজ হঠাৎ কোন পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই বুলডোজার নিয়ে এসে আমাদের দোকানপাট ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। এতদিন কোন অভিযান করা হয়নি,আজ হঠাৎ অভিযান কেন? এখানে নিশ্চয়ই কারো স্বার্থ জড়িত আছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযানের নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি তা রিসিভ করেননি।

সার্বিক বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া বলেন, মহাসড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযান পরিচালনা করার আগের দিন মৌখিকভাবে অভিযানের বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।