Image description

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে "রাজস্ববিহীন" এবং "বাস্তবতা বিবর্জিত" বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতারা। সোমবার (২ জুন) বাজেট প্রতিক্রিয়ায় দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে তারা অভিযোগ করেছেন যে, এই বাজেটে গুণগত বা কাঠামোগত কোনো পরিবর্তন নেই এবং এটি বিগত সরকারের ধারাবাহিকতা থেকে বের হতে পারেনি।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন এবং জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা এই বিবৃতি দিয়েছেন।

বিএনপি নেতাদের মতে, প্রস্তাবিত বাজেটের সঙ্গে রাজস্ব আয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। রাজস্ব আয়ের পুরোটাই পরিচালনা ব্যয়ে চলে যাবে, যার ফলে উন্নয়ন বাজেট দেশি-বিদেশি ঋণনির্ভর হয়ে পড়বে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার যদি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়, তাহলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের সুযোগ কমে যায়। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় না এবং মানুষের আয় বৃদ্ধি পায় না। দেশের বাইরে থেকে ঋণ নিলে তা দেশের মানুষের ওপর সুদের বোঝা বাড়ায় এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে, দেশের ভেতর থেকে ব্যাংক ঋণ নিলে সুদের হার বেড়ে যায় এবং ব্যক্তি খাতে ঋণ কমে যায়, যা বিনিয়োগে বাধা দেয়।

বিএনপি নেতারা মনে করেন, প্রস্তাবিত বাজেট "আগেরটাই রয়ে গেছে" এবং এতে "গুণগত দিক থেকে কোনো পরিবর্তন নেই।"

বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা উল্লেখ করেন যে, "অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা সীমিত, কারণ তাদের একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে।" 

তারা মনে করেন, নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে তাদের ক্ষমতার মেয়াদের ব্যবধান থাকায়, বিগত সরকারের ধারাবাহিকতা থেকে বেরিয়ে আসা তাদের জন্য কঠিন।

খুলনা বিএনপি নেতারা দৃঢ়ভাবে বলেছেন যে, রাজস্ব আয়ের ওপর ভিত্তি করে বাজেট করা উচিত। এতে বেসরকারি খাতে টাকার সরবরাহ থাকবে, বিনিয়োগ বাড়বে, সুদের হার কমবে, বিদেশি ঋণের পরিমাণ হ্রাস পাবে এবং সুদের হারও কম পেমেন্ট করতে হবে।