Image description

নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ২০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। সোমবার (জুন ২) এএফপি তিন জন স্থানীয় বাসিন্দার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সশস্ত্র ‘ডাকাত’দের পিছু ধাওয়ার সময় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের একটি দলকে ভুলবশত হামলা করে সেনাবাহিনী। 

বাসিন্দারা জানান, জামফারা রাজ্যে সশস্ত্র একটি গোষ্ঠীর পিছু ধাওয়ার সময় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের একটি দল এই হামলার শিকার হয়। নাইজেরিয়া সেনাবাহিনী অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য জানায়নি।

জামফারার মারু জেলার মানি ও ওয়াবি গ্রামে একদল ডাকাত হামলা চালিয়ে গবাদি পশু লুট করে এবং বহু মানুষকে অপহরণ করে। এতে পাশের মারায়া গ্রাম ও অন্যান্য প্রতিবেশী এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন একত্র হয়ে অপহৃতদের ও গরুগুলোকে উদ্ধারের জন্য তাদের পিছু নেয়। 

স্থানীয়দের দাবি, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের খবর দেওয়ার পর ঘটনাস্থলে আসা একটি সামরিক বিমান ওই স্বেচ্ছাসেবকদের ডাকাত ভেবে ভুলবশত তাদের ওপর বোমা ফেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা বুহারি ডাঙ্গুলবি বলেন, "শনিবার আমরা দুবার বিপর্যয়ের শিকার হই। ডাকাতরা আমাদের অনেক মানুষ ও গরু নিয়ে যায়, আর যারা তাদের উদ্ধার করতে গিয়েছিল, তারা যুদ্ধবিমানের হামলায় নিহত হয়। এতে ২০ জন মারা যায়।"

আরেক বাসিন্দা ইশিয়ে কাবিরুও ২০ জন নিহত হওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, "আমাদের মারায়া ও আশপাশের এলাকার স্বেচ্ছাসেবীরা একত্র হয়ে ডাকাতদের ধাওয়া দিয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটি সামরিক বিমান তাদের ওপর হামলা চালায়।" তৃতীয় এক বাসিন্দা আলকা তানিমুও একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এটি সর্বশেষ বিমান হামলা। দেশটির বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযানের মধ্যে শত শত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এসব গোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে জিহাদি ও তথাকথিত ‘ডাকাত’ চক্র।

নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অব্যবস্থাপনার সুযোগ নিয়ে এই ডাকাতরা ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জিহাদিদের মতো এদের কোনো আদর্শিক উদ্দেশ্য নেই, বরং অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যেই এরা অপরাধ করছে। অন্যদিকে এ ধরনের বিমান হামলায় বহু বেসামরিক নাগরিক মারা গেছে। শনিবারের ঘটনাটি ছিল জামফারা রাজ্যে এ ধরনের তৃতীয় ঘটনা।