Image description

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা কোনো কর্মকাণ্ডে জড়াবে না বলে জানিয়েছেন মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। সোমবার সেনা সদর দপ্তরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে করিডোর সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। 

লে. কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘করিডোর ও দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়ে সেনাবাহিনী কোনো আপোস করবে না। ৫ আগস্টের পর থেকে দেশের স্বার্থে সেনাবাহিনী সকলের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছে।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক জানতে চান- যত সময় গড়াচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। গত রাতে কয়েক জায়গায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গত ১ মাসে শুধু রাজধানীতে এক শর বেশি হত্যাকাণ্ড হয়েছে? ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে আড়াইশর বেশি। সেনাবাহিনী মাঠে থাকলেও কেন আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না? 

জবাবে কর্নেল মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, আপনার যা মিডিয়াতে আসছে তার অল্প কিছু দেখছেন। আগের তুলনার আইন শৃঙ্খলার ইন্ডিকেটর বিবেচনা করলে স্থিতিশীল আছে বা আগের চেয়ে কিছু ভালো হয়েছে। আমরা দিন-রাত সর্বদা নিরলসভাবে আইন শৃঙ্খলা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। এটি শুধু সেনাবাহিনীর একার দায়িত্ব নয়। এখানে অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীরও দায়িত্ব রয়েছে। সকলে মিলে সমন্বয়ভাবে আমরা কাজ করলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অচিরেই উন্নতি হবে বলে আমরা আশা করছি। 

আরেক সাংবাদিক জানতে চান- সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের করিডোর নিয়ে একটা আলোচনা হচ্ছে? এটা নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কী ভাবছে? এর জবাবে কর্নেল মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, দেখুন করিডোর একটি স্পর্শকাতর বিষয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত কোনো কাজে সম্পৃক্ত হবে না। 

বাংলাদেশে আরাকান আর্মির কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন রাখলে সেনা কর্মকর্তা শফিকুল বলেন, আরাকান আর্মির সাথে আমাদের সরাসরি কোনো যোগাযোগ নেই। আপনারা যেটা গণমাধ্যমে দেখছেন সেটার সঠিকতা বা বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে যথেষ্ট বিবেচনার দাবি রাখে। তাদের সঙ্গে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ নেই।

সংবাদ সম্মেলনে করিডোর, চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম ও স্টারলিংক সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় সেনাবাহিনীকে। সেইসঙ্গে ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গে পাহাড়ি সশস্ত্রগোষ্ঠীর বৈঠক নিয়ে তাদের প্রশ্ন করা হয়। 

জবাবে শফিকুল বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো বিষয়ে সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত হবে না। পাহাড়ি যেসব দলের কথা আপনারা বলেছেন। আপনারা জানেন যে তারা একটি আত্মস্বীকৃত টেরোরিস্ট দল, যারা সংঘাতপূর্ণ কাজ করে থাকে। সুতরাং তাদের নির্বাচনে আনা সমীচীন নয় বলে আমি মনে করি। 

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক জানতে চান, অফিসার্স অ্যাড্রেস নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দেখা গেছে যে, সেনাপ্রধান কিছু তার অবজারভেশন দিয়েছেন এবং তিনি কিছু বিষয় সেনাবাহিনীর অবস্থান পরিষ্কার করেছেন বলে আমরা গণমাধ্যমে সংবাদ দেখেছি। তো এই বিষয়গুলো নিয়ে আপনারা কি সরকারের সঙ্গে আপনাদের কোনো যোগাযোগ হয়েছে কিনা?  আপনাদের অবস্থানটা জানিয়েছেন কিনা? যদি জানিয়ে থাকেন সেষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে রেসপন্স কি?

জবাবে শফিকুল বলেন, এটা নিতান্তই অফিসারস এড্রেস একটি নিতান্তই আমাদের বাহিনীর অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং গণমাধ্যমে আপনারা যেটা দেখতে পাচ্ছেন এটা সঠিকতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান। কারণ আমরা এখানে কাউকে ডাকিনি, যদি আমরা কোন কিছু জানাতেই চাইতাম তাহলে আমরা আপনাদেরকে ডাকতাম গণমাধ্যম থাকতো। সেখানে আইএসপি আর সরকারভাবে বিবৃত দিত। আমরা কিন্তু এগুলো কোন কিছুই করিনি। তো এটা আমাদের জাস্ট একটা রেগুলার রুটিন এফেয়ার সেনাবাহিনী প্রধান প্রায়ই হর হামেশাই আমাদের সাথে কথা বলেন এবং তার দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। 

আরেক সাংবাদিক জানতে চান, ঢাকা উত্তর কর্পোরেশনের প্রশাসক তিনি একটি গণমাধ্যমে বলেছেন সামগ্রিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং মসক নিধনে সেনাবাহিনী অংশ নেবে? এমন একটি মন্তব্য করেছেন সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর অবস্থানটা কি? সেনাবাহিনী মশার ঔষধ ছিটানোর কাজেও কি অংশ নিচ্ছে? জবাবে শফিকুল ইসলাম বলেন, বর্জ্য পরিষ্কার বা মসক নিধনে সেনাবাহিনী কাজ করে না। উনি কিভাবে কোথা থেকে বলেছেন এ বিষয়ে আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ হয়নি। এ বিষয়ে আমরা কোন তথ্য আপনাকে দিতে পারছি না। 

এক সাংবাদিক জানতে চান- দেশের অস্থীতিশীল পরিস্থিতিগুলোকে বিবেচনা করে বা সেগুলোকে তুলে ধরে সেনাবাহিনী বলেছিল ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বরে যদি নির্বাচন না হয় সেনাবাহিনীর অবস্থা কী থাকবে? 

সেনা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, দেখুন নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা আর কোন কথা বলতে চাচ্ছি না। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বা নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আমরা সর্বদা সেনাবাহিনী একত্রে এবং একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করে আসছি এবং ভবিষ্যতেও আমরা দেশ ও জনগণের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাব। সরকার ও সেনাবাহীর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে। আমরা একত্রে একসাথে দেশের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি।

এদিকে করিডোরের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না এবং এ বিষয়ে সেনাবাহিনী কী ভাবছে–সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্সের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উল-দৌলা বলেন, ‘করিডোরের বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এটা আমাদের দেশ, আমাদের সবার দেশ। এই দেশের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আমরা সবাই জড়িত। এ দেশকে ভালো রাখতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। সুতরাং আমি মনে করি না যে এই বিষয়টা এমন একটি পর্যায়ে গেছে, যেভাবে বিষয়টা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।’

মো. নাজিম-উল-দৌলা বলেন, ‘সরকার ও সেনাবাহিনী খুব সুন্দরভাবে ওতপ্রোতভাবে একে অপরের সম্পূরক হিসেবে কাজ করছে। আমরা প্রতিনিয়ত সরকারের সঙ্গে কাজ করছি এবং সরকারের নির্দেশে দায়িত্ব পালন করছি। সরকার ও সেনাবাহিনী খুব সুন্দরভাবে একে অপরের সহযোগিতায় কাজ করছে। করিডোরের সঙ্গে বর্ডারে আরসার মুভমেন্টের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। দুইটা বিষয় আলাদা। সরকার ও সেনাবাহিনী ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা করছে, এ রকম যেন আমরা না ভাবি। সরকার ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে, ভবিষ্যতেও আমরা আরো সুন্দরভাবে কাজ করে যাব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’

চট্টগ্রামের একটি কারখানায় সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফের পোশাক পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্সের পরিচালক বলেন, ‘কেএনএফ মূলত বম কমিউনিটিভিত্তিক সংগঠন। পোশাক পাওয়ার সংবাদটি একটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ। সংগঠনটির অস্ত্রের ব্যবহার আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামে দেখছি। তাদের আক্রমণে আমাদের কয়েকজন সেনা সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন এবং আহত হয়েছেন। সেই প্রেক্ষাপটে নিশ্চয়ই এটা ভালো কোনো খবর নয়।’

তিনি বলেন, ‘৩০ হাজার ইউনিফর্ম পাওয়ার ছবি দেখার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, এটার আসলে ব্যাপারটা কী, এ বিষয়ে আমাদের জানতে হবে। এ পোশাক কাদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল, সেটা আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি‌। এটা নিয়ে কাজ চলছে। এ সংগঠনের সঙ্গে অন্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। কিন্তু বম কমিউনিটির জনসংখ্যা মাত্র ১২ হাজার। সুতরাং এই ৩০ হাজার ইউনিফর্ম কেএনএফের জন্য ছিল কি না সেটা খুঁজে দেখার সুযোগ আছে। এ বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। বিষয়টি দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিষয়টিকে আমরা হালকাভাবে নিইনি, নিশ্চিত করে বলতে পারি। এ ব্যাপারে যতটুকু ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, আমাদের দায়িত্বের মধ্যে যেটা পড়ে, সেটা আমরা করব।’

বাংলাদেশ একটা ছায়া যুদ্ধের মধ্যে আছে, সেটা বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হচ্ছে। আরসা বাংলাদেশের লোকজনকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশে ঢুকে তারা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অনেক সময় বিভিন্ন মাধ্যমে খবর আসছে তাদের কাছে ভারি ভারি অস্ত্র আছে, তাদের কাছে এই অস্ত্র কোথায় থেকে আসছে। এসব বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আসলে বর্ডার কি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে না কি আমরা বর্ডার কম্প্রোমাইজ করেছি–এমন প্রশ্নের জবাবে মো. নাজিম-উল-দৌলা বলেন, ‘আমি যদি এক লাইনে উত্তর দিতে চাই, অবশ্যই আমরা বর্ডার কম্প্রোমাইজ করিনি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের গায়ে বিন্দুমাত্র শক্তি থাকবে, আমরা কখনোই বর্ডার কম্প্রোমাইজ করব না। এটা আমাদের দেশ আর দেশকে আমরা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করব। এটা আপনার দেশ, এটা আমাদের দেশ। কোনো একটা সম্প্রদায়ের মাধ্যমে এ দেশের সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট হতে পারে, সেটা কখনোই হবে না।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও মায়ানমার বর্ডার অত্যন্ত জটিল একটি পরিস্থিতির মুখে আছে। মায়ানমারের সরকারের অস্তিত্ব বিলীনের মুখে। আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যটিকে প্রায় দখল করে নিয়েছে। তাদের দখলে রাখাইন রাজ্যের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ রয়েছে। আরাকান আর্মি কোনো অথরাইজ সংগঠন নয়। এ জায়গাটাতে না আছে কোনো সরকারের অস্তিত্ব, না আছে আরাকান আর্মিকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টা। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের বর্ডারের পরিস্থিতি যেকোনো সময়ের তুলনায় সংবেদনশীল। তার মানে এই নয় যে এটাকে আমরা স্বীকৃতি দেব বা দেখেও না দেখার ভান করব। এ ধরনের ঘোলাটে পরিস্থিতিতে এ ধরনের মুভমেন্ট হতে পারে কিন্তু আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, বিজিবি প্রাথমিকভাবে ডেফিনেটলি সাপোর্টেড বাই আর্মি, আমরা এই বর্ডারে প্রচণ্ডভাবে নজরদারি রাখছি। এখানে যেন সার্বভৌমত্ব বিঘ্নিত হতে না পারে, এমন পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে আমরা ওয়াকিবহাল আছি।’

পুশইন নিয়ে প্রশ্নে  মো. নাজিম-উল-দৌলা বলেন, পুশইন কোনভাবেই কাম্য নয়। প্রথম কথা হলো সেটা যে একটা পুশইন হতে থাকবে আর আমরা বসে থাকবো এটা ভাবারও কোন অবকাশ নেই। বিজিবি এটা নিয়ে কাজ করছে এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তারা অবগত আছেন বিষয়টি নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অনুযায়ী একটা পার্টিকুলার জায়গা পর্যন্ত সেনাবাহিনী যেতে পারে তার বাইরে যেতে পারে না, প্রয়োজন ছাড়া তো এই পরিস্থিতিতে পুশিন বিষয়টি আমি মনে করি এখনো বিজিবি সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে। পরিস্থিতি যদি উদ্ভব হয় যেখানে সেনাবাহিনী ইনভল্ভ হওয়ার দরকার হবে সরকারের নির্দেশে নিশ্চয়ই সেনাবাহিনী সেটাতে যাবে। তবে এই মুহূর্তে বিজিবি ইজ ম্যানেজিং ইট ভেরি নাইসলি এবং নিয়ম প্রথা অনুযায়ী তারা কাজটা করছে। বাট আবারো বলব এটা কাম্য নয়। এটা ইটস নট এক্সেপ্টেড।  

এর আগে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে বিগত ৪০ দিনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন অপারেশনস পরিদফতরের কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম। ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মব ভায়লেন্স ও সামাজিক নিরাপত্তা বিঘ্নিতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের সঙ্গে তুলনা করলে বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে স্থিতিশীল বা কোথাও উন্নতিও আছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখভালের দায়িত্ব কেবল সেনাবাহিনীর একার নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্য সংস্থাগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতির আরও উন্নতি করতে হবে।’