
ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কাঠালকান্দী গ্রামে ২৩ মে রাতে টর্চ লাইট সাদৃশ বস্তুর বিস্ফোরনে মারাত্বক আহত হয়েছেন চল্লিশোর্ধ কৃষক।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের কৈটকী পাড়ার মোবারক দিঘী সংলগ্ন ভুইয়া বাড়ির মৃত শামছুল হক ভুইয়ার ছেলে আফরোজ ভুইয়া (৪৭) রাত প্রায় ১১.৫০ সময়ে পার্শ্ববর্তী দোকানে আড্ডা দিয়ে বাড়ি ফিরে দেখেন তার বাড়ির প্রবেশ পথে কে বা কারা বড়ই গাছের ডাল দিয়ে বেড়া দিয়ে রেখেছে। ডাল সড়িয়ে প্রবেশ করতে গিয়ে দেখেন, ডালের নীচে একটি টর্চ লাইট পড়ে আছে। টর্চ লাইটটি হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করে ১ম বার সুইচ দিলে আলো না জ্বললেও ২য় বার সুইচ দিতেই বিস্ফোরিত হয়ে যায় টর্চ লাইটটি। এতে মারাত্বক আহত হন আফরোজ ভুইয়া। তার চিৎকার শুনে এগিয়ে আসে পরিবার ও প্রতিবেশী লোকজন।
আহত আফরোজ ভুইয়াকে চিকিৎসার জন্য নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
কাঠালকান্দি গ্রামের মেম্বার মো: বাবুল মিয়া জানান, আফরোজ মিয়া রাতে চা দোকানে চা খাইয়া বাড়িতে আসছে, উনি যে জায়গা দিয়া ডুকে বড়ির ডাল কাইটা ফালাইযা রাখেছে এই জায়গায়, একটি লাইট দিয়া বোমা সিষ্টেম বানাইছে, তিনি টর্চ লাইটটা হাতে নিছে, ১ম টিপে ব্রাস্ট হয়নি ২য় টিপেই ব্রাস্ট হইয়া গেছে। লা্ইটটাই মুলত বিস্ফোরক। পরে আমরা সবাই গেছি, এলাকার মানুষ গেছে, চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের লোকজন ও ছিল। তাকে চিকিৎসার জন্য নাসিরনগর পাঠনো হয়েছে পরে সেখান থেকে ব্রাহ্মনবাড়িয়া পাঠানো হয়েছে।
চাতলপাড় পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মো: রফিকুল ইসলাম "দৈনিক মানবকন্ঠ" কে জানান, বোমা কিনা তা নিশ্চিত করে বলতে পারছিনা । লাইট বিস্ফোরনও হতে পারে যেহেতু এখানে পাওয়ার আছে, ইলেকট্রিসিটিও আছে ওখানে। সেহেতু আমি এক্সপার্ট ছাড়া মতামত দিতে পারিনা এটা কি? আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে, পরীক্ষা নিরীক্ষা করেই বলা যাবে প্রকৃতপক্ষে কি ঘটেছিল ।”
Comments