
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই ভাইকে ছুরিকাঘাত করেছে এক দুস্কৃতিকারী। এসময় মো. আরিফ হোসেন (৩৫) নামে স্থানীয় এক জামায়াত নেতা নিহত হয়েছে এবং অপর ভাই খাইরুদ্দিন (৪০) গুরুতর আহত হয়েছে। আহতকে উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড হাসিমারকাটা সিকাদার পাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত আরিফ ওই এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে ও অপর আহত খাইরুদ্দিন জামাল উদ্দিনের ছেলে। সম্পর্কে তারা আপন চাচাতো ভাই।
এদিকে দুপুরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক সাজ্জাদ হোসেন সুজন ও তার মা সহ ৫জনকে আটক করেছে্।
প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানায়, নিহত আরিফ ও তার চাচাতো ভাই খাইরুদ্দিন স্থানীয় ছোয়ালিয়াপাড়া স্টেশন থেকে বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কৈয়ারবিল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সড়কে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা একই এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন সুজন (৩৬) ঘর থেকে ছুরি নিয়ে বের হয়ে আরিফ ও খাইরুদ্দিন (৪০)কে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এসময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আরিফ মারা যায়। পরে তাকে ও আহত খাইরুদ্দিনকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আরিফকে মৃত ঘোষনা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহত খাইরুদ্দিনকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়।
জানা যায়, জমিজমা নিয়ে তাদের পূর্বশত্রুতা রয়েছে। এনিয়ে এ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটতে পারে। ঘাতক সুজন বিদেশ ফেরত এক যুবক। তার টমটম গ্যারেজ ও মুরগী ফার্মের ব্যবসা রয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানায়।
কৈয়ারবিল ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী মিজানুর রহমান জানান, ঘাতক সাজ্জাদ স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের আমলে স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ড জামায়াতের অর্থ সম্পাদক আরিফ গংয়ের মালিকানাধীন প্রায় ৮কানি জমি জবর দখল করে নেয়। ৫আগষ্টের পর সম্প্রতি স্থানীয় সমাজে বিচার দায়ের করলে তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে আরিফকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং তার মা সহ বিভিন্ন জায়গায় হত্যার ঘটনা সংঘঠিত করার হুমকিও দিয়ে আসছিল। সর্বশেষ ঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে এবং নিজ হাতে খুনের প্রকাশ্যে স্বীকারোক্তি দেয়।
চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত আরিফের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করা হয়েছে। তার পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এতে তার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ঘাতক সুজন ও তার মাসহ ৫জনকে কৈয়ারবিল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Comments