Image description

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। সোমবার (১৯ মে) প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীকে টেলিফোনের মাধ্যমে এই বিষয়ে জানানো হয় এবং মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে স্টারলিংকের অফিসিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, "স্টারলিংক অফিসিয়ালি বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। গতকাল বিকেলে তারা ফোন করে আমাকে বিষয়টি জানায় এবং আজ সকালে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে।"

তিনি আরও জানান, স্টারলিংক প্রাথমিকভাবে দুটি প্যাকেজ নিয়ে বাজারে এসেছে – 'স্টারলিংক রেসিডেন্স' এবং 'রেসিডেন্স লাইট'। এর মধ্যে একটির মাসিক খরচ ৬০০০ টাকা এবং অন্যটির ৪২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির জন্য গ্রাহকদের এককালীন ৪২ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। এই প্যাকেজগুলোতে কোনো ডেটা ব্যবহারের সীমা থাকছে না এবং গ্রাহকরা ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহারের সুবিধা পাবেন।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব উল্লেখ করেন, "বাংলাদেশের গ্রাহকরা আজ থেকেই এই সেবার জন্য অর্ডার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে যাত্রা শুরুর বিষয়ে স্যারের (প্রধান উপদেষ্টার) যে প্রত্যাশা ছিল, সেটি পূরণ হলো।"

তিনি আরও বলেন, "যদিও এই সেবা তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল, তবে এর মাধ্যমে দেশের প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবার বিকল্প তৈরি হলো। পাশাপাশি, যেসব দুর্গম এলাকায় ফাইবার অপটিক কেবল বা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ এখনো পৌঁছায়নি, সেসব এলাকায় ইন্টারনেট সেবাদানকারী অন্যান্য কোম্পানিগুলোও তাদের ব্যবসার পরিধি বাড়াতে পারবে। এছাড়াও, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা (এনজিও), ফ্রিল্যান্সার এবং নতুন উদ্যোক্তারা সারা বছর নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের নিশ্চয়তা লাভ করবেন।"

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানান, এই অর্জনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে স্টারলিংক দক্ষিণ এশিয়ার একটি নতুন বাজারে প্রবেশ করলো। এই পদক্ষেপের ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার একটি নতুন সম্ভাবনা তৈরি হলো।