
২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন বছরে শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় ৪৯১ জন শ্রমিক নিহত ও ১ হাজার ৩৩৪ শ্রমিক আহত হয়েছে। মহান মে দিবস উপলক্ষে বুধবার মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং শ্রমিকদের সুরক্ষামূলক সরঞ্জামের অভাবে দুর্ঘটনায় ৪২৯ জন শ্রমিক তাদের কর্মক্ষেত্রে মারা গেছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তিন বছরে অন্তত ৩০ জন গৃহকর্মী মালিকের নির্যাতনে নিহত ও ২৮ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এছাড়া ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসে ৮৬ টি শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৫ জন এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৯৪ জন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শিশু শ্রম এখনো দেশের বিভিন্ন খাতে বিদ্যমান, বিশেষ করে নির্মাণ, পরিবহন ও ক্ষুদ্র শিল্পে। এটি শুধু শিশুর শৈশবকে কেড়ে নিচ্ছে না, বরং তাদের শিক্ষার অধিকারও ক্ষুণ্ণ করছে। চা শ্রমিকরা যুগ যুগ ধরে অপ্রতুল মজুরি, দুর্বল জীবনমান ও অবহেলিত সেবা ব্যবস্থার মধ্যে বসবাস করছেন। তাদের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ সময়ের দাবি। প্রতিবেদনে শ্রমিকের সুরক্ষায় বেশকিছু দাবি ও সুপারিশ উল্লেখ করে এইচআরএসএস।
এইচআরএসএস’র নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রমিকদের প্রতি ন্যায্যতা ও সম্মান প্রদর্শনই একটি মানবিক সমাজের ভিত্তি। সব স্তরের জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন এবং একটি সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।’
Comments