Image description

কানাডায় ফেডারেল নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টিকে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয়লাভ করেছে লিবারেল পার্টি। এর মধ্য দিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মার্ক কার্নি। সোমবারের এই বিজয়ে লিবারেলদের নাটকীয়ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কানাডার অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকির প্রতিক্রিয়া লিবারেল জয় তরান্বিত করেছে।

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এপি।

মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি এবং বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে ভাগ্যের একটি অত্যাশ্চর্য পরিবর্তনের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হলো কানাডার এই নির্বাচন। তাই পরবর্তী নেতাকে অবশ্যই মার্কিন শুল্ক এবং জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয় মোকাবেলা করতে হবে।

লিবারেলরা কনজারভেটিভদের তুলনায় সংসদের ৩৪৩ আসনের মধ্যে অধিকাংশতেই জয়ীর অনুমান করছে। যদিও তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জিতবে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে অন্য দলের প্রয়োজন ছাড়ায় তাদের আইন পাস করা সহজ হবে।

এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট কানাডার অর্থনীতিতে আক্রমণ করা এবং এর সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলার আগে উদারপন্থিরা একটি বিপর্যয়কর পরাজয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল। তবে দাবার গুটি পাল্টে দিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই।

তিনি কানাডার তৈরি গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য করার কথা বলেছেন, যা দেশটিতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড ক্ষুব্ধ করেছে কানাডিয়ানদের। একই সঙ্গে লিবারেলদের চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় জিততে সাহায্য করেছে।

এর আগে টানা ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর চলতি বছরের শুরুতে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন জাস্টিন ট্রুডো। পরে  ৯ মার্চ তার স্থলাভিষিক্ত হন মার্ক কার্নি। সদস্যদের ভোটে লিবারেল পার্টির নতুন নেতা বাছাই হয়। এতে মার্ক কার্নি ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। মার্ক কার্নি ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডেরও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।