Image description

দেশের তিন জেলায় বজ্রাঘাতোআটজন নিহত হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও কুমিল্লা জেলায় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে এসব মৃত্যু হয়। এছাড়া বজ্রপাতে আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলায় ধান কাটার সময় বজ্রাঘাতে তিনজন নিহত হয়েছে।  সোমবার (২৮ এপ্রিল ) সকালে অষ্টগ্রাম উপজেলার কলমা ইউনিয়ন ও খয়েরপুর আব্দুল্লাপুর ইউনিয়ন এবং মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের রানীগঞ্জ এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন, অষ্টগ্রাম উপজেলার কলমা ইউনিয়নের হালালপুর গ্রামের মৃত যতিন্দ দাসের ছেলে ইন্দ্রজিত দাস (৩০), খয়েরপুর আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের খয়েরপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে স্বাধীন মিয়া (১৪)  এবং ‌মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের রানীগঞ্জ গ্রামের মৃত আশ্রব আলীর স্ত্রী ফুলেছা বেগম।

পুলিশ জানায়, ইন্দ্রজিত দাস সকালে হালালপুর গ্রামের পাশে হাওড়ে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মারা যান। একই সময় খয়েরপুরের হাওড়ে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মারা যান স্বাধীন মিয়া।

এ দিকে, সকালে ফুলেছা বেগম মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের রানীগঞ্জ গ্রামের বাড়ির পাশে ধানের খলায় কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।

অন্যদিকে, সুনামগঞ্জের শাল্লায় বজ্রপাতে রিমন তালুকদার নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার আটগাঁও গ্রামের বুড়িগাঙ্গাল হাওরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রিমন তালুকদার (২২) শাল্লা কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালে শাল্লার বুড়িগাঙ্গাল হাওরে গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যায় রিমন। এসময় হঠাৎ বৃষ্টিপাত শুরু হলে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আগে বজ্রপাতে রিমন তালুকদার ও তার সঙ্গে নিয়ে যাওয়া একটি গরুর মৃত্যু হয়।

অপরদিকে,  কুমিল্লায় বজ্রপাতের পৃথক দুটি ঘটনায় দুই কৃষক ও দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ও দুপুরের দিকে এসব ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতে নিহতদের মধ্যে দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং দুইজন স্কুলছাত্র রয়েছে।

সকালে সাড়ে ১০টার দিকে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার কোরবানপুর পূর্বপাড়া কবরস্থানের পাশের মাঠে বজ্রপাতে মারা যান দুই ব্যক্তি। তারা হলেন- দেওড়া গ্রামের জসিম উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভূঁইয়া (৩৫) ও কোরবানপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া (কালীবাড়ি) এলাকার মৃত বীরচরন দেবনাথের ছেলে নিখিল দেবনাথ (৬০)।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, ওই সময় তারা মাঠে কাজ করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম (মেম্বার) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, আমরা স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়েছি। তাদের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়া একই দিনে দুপুরের দিকে বরুড়া উপজেলার খোশবাস ইউনিয়নের পয়ালগাছা গ্রামে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছে দুই স্কুলছাত্র। নিহতরা হলেন- ঐ এলাকার মৃত খোকন মিয়ার ছেলে ফাহাদ হোসেন (১৩) এবং একই এলাকার আব্দুল বারেক মিয়ার নাতি সায়মন হোসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুজনেই বড় হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। হালকা মেঘলা আবহাওয়ায় তারা মাঠে ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। আকস্মিক বজ্রপাতে মারাত্মক আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।