Image description

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় কারাগারে থাকা রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী কেরামত আলীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া একই অপরাধের আরও একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) শুনানি শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তামজিদ আহমেদ এ আদেশ দেন। বেলা পৌনে ১২টার দিকে মামলার শুনানির জন্য কাজী কেরামত আলীকে রাজবাড়ী সদর আমলী আদালতে তোলা হয়।

রাজবাড়ী কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক (সদর কোর্ট) মো. জসীম উদ্দিন জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজবাড়ী সদর থানায় জিসান খানের দায়ের করা মামলায় কাজী কেরামত আলীকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এনায়েত শিকদার। শুনানি শেষে আদালত তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে ২০২৪ সালের ৩০ আগস্ট রাজবাড়ী সদর থানায় রাজিব মোল্লার দায়ের করা মামলায় কেরামত আলীর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিকাঈল হোসেন।

কাজী কেরামত আলীর পক্ষে তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে গত ৩০ আগস্ট কাজী কেরামত আলীসহ ১৭০ জনের নাম উল্লেখ করে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা দায়ের করেন রাজবাড়ী সরকারি কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাজিব মোল্লা। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় গত ৬ এপ্রিল দিবাগত রাতে কাজী কেরামত আলীকে রাজধানীর মহাখালী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

পরদিন ৭ এপ্রিল বেলা পৌনে ১২টার দিকে তাকে রাজবাড়ী সদর আমলী আদালতে তোলা হলে তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তামজিদ আহমেদ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এরপর থেকে তিনি এ মামলায় জেলা কারাগারে আছেন। আজ একই অপরাধের আরও একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখান হল। আদালত থেকে জেল হাজতে প্রেরণের সময় সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলীকে দুই হাত পেছনে রেখে হ্যান্ডকাফ দিয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়৷