Image description

সমালোচনার মুখে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের উপদেষ্টার পদ ছেড়েছেন লেখক ড. আমিনুল ইসলাম। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটের দিকে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে আমিনুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আই অলরেডি রিজাইন্ড, পিস।’ গত ১৭ এপ্রিল এক অফিস আদেশে ড. আমিনুল ইসলামকে প্রশাসকের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয় ডিএনসিসি।

জানা গেছে, বর্তমানে উত্তর-পূর্ব ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়ার এন্টারপ্রেনারশিপ ইউনিভার্সিটিতে টেকসই উন্নয়নে সিনিয়র লেকচারার হিসেবে কর্মরত ড. আমিনুল।

তার এই নিয়োগের পর অনেকেই তার বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগসহ নানা ইস্যু নিয়ে সমালোচনা করছেন। কেউ কেউ বলছেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ইচ্ছাতেই নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।

নিয়োগের সংবাদটি শুনে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে নেটিজেনরা বলছেন, ড. আমিনুল ইসলাম প্রায় ৫ মাস আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্টে নিজেকে উপদেষ্টা বানানোর জন্য সবার কাছে আকুল আবেদন জানান।


তিনি লিখেছিলেন, ‘আপনাদের কাছে একটা বিনীত অনুরোধ-প্লিজ, লেখাটা নিজেদের প্রফাইলে, গ্রুপে, পেজে শেয়ার করে আমাকে উপদেষ্টা হতে সাহায্য করুন।’

নেটিজেনরা বলছেন, আমিনুল ইসলাম প্রায়ই অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া সাত কলেজের ভিসি হওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছিলেন।

আকরাম মজুমদার নামে একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘তিনি এত বড় দেশপ্রেমিক যে ২০২২ সালেই নিজের নাগরিকত্ব বাতিল করে ইউরোপের নাগরিক হয়েছিলেন। এরা যা কামানোর কামিয়ে দেশ ধ্বংস করে চলে যাবেন, ভুক্তভোগী হবে এ দেশ ও এ দেশের মানুষ।’
 
নেটিজেনরা বলছেন, এই নিয়োগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

ড. আমিনুল ইসলামের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকার নাখালপাড়ায়। ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে সুইডেনে মাস্টার্স এবং ইংল্যান্ড থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন তিনি। বর্তমানে উত্তর-পূর্ব ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়ার এন্টারপ্রেনারশিপ ইউনিভার্সিটিতে টেকসই উন্নয়নে সিনিয়র লেকচারার হিসেবে কর্মরত আছেন।