Image description

বর্তমান সময়কে বলা হচ্ছে, ‘বিশ্বায়নের সময়’। অত্যন্ত জোর দিয়েই বলা হয় যে, এ যুগ হলো দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলার ‘বিশ্বায়নের যুগ’। আত্মতৃপ্তি সহকারে ঘোষণা করা হচ্ছে, সারা বিশ্ব এখন আমার আপনার ঘরের মধ্যে। দুনিয়া হলো এক বিশ্বগ্রাম। ‘বিশ্বায়ন’ শব্দটির গভীরতা ও ব্যাপকতা অপরিসীম। গণ্ডিবদ্ধতা-সীমাবদ্ধতা-সংকীর্ণতাকে অতিক্রম করার মধ্য দিয়েই ঘটে সমাজের অগ্রগতি। 

“থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে; দেখবো এবার জগৎটাকে 
কেমন করে ঘুরছে মানুষ যুগান্তরের ঘুর্ণিপাকে’’- ছত্রটি শুধুমাত্র কবির কল্পনা নয়। 

এ হলো মানুষের এগিয়ে চলার সহজাত আকাক্সক্ষা। এ কথা কেউই অস্বীকার করবে না যে, সংকীর্ণতার বিপ্রতীপে কমিউনিস্ট পার্টিই প্রথম আন্তর্জাতিকতার মতাদর্শ বিশ্বজনতার প্রাঙ্গণে তত্ত্বে এবং প্রয়োগে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। ১৮৪৮ সালে প্রকাশিত কার্ল মার্কস ও ফ্রেডরিকে এঙ্গেলস রচিত ‘কমিউনিস্ট ইস্তাহার’ যে বাক্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছিল তা হলো- ‘‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’’। এর চেয়ে বড় ও ব্যাপক বিশ্বায়নের বার্তা আর কি হতে পারে? কার্যত রাজনৈতিক স্তরে এটাই ছিল প্রথম নতুন যুগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্বায়নের বার্তা। 

কিন্তু যে বিশ্বায়নের যুগ হিসেবে বর্তমান সময়কে চিহ্নিত করা হচ্ছে তা হলো, সাম্রাজ্যবাদী পুঁজির বিশ্বায়ন। পুঁজির লক্ষ্যই হলো যত বেশি সম্ভব মুনাফা অর্জন। মুনাফার উদ্দেশ্য নতুন নতুন বাজারের সন্ধান- আর বাজার দখলের প্রতিযোগিতার প্রয়োজনে দেশ হতে দেশান্তরে ছোটাছুটি করে পুঁজি বিশেষত লগ্নিপুঁজি। অবাধ চলাচলে বাধা পেলে সে বাধা দূর করার জন্য হিংস্র আক্রমণ করতেও পিছপা হয় না লগ্নিপুঁজির মুরুব্বিরা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অসাধারণ অগ্রগতি ঘটেছে এ সময়ে। কার্যত ‘প্রযুক্তির বিপ্লব’ ঘটেছে, যার মাধ্যমে উৎপানদশীলতা বেড়েছে প্রভূত পরিমাণে, বৃদ্ধি পাচ্ছে মুনাফা। 

কিন্তু সমগ্র পুঁজিবাদী দুনিয়ায় প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ একচেটিয়া পুঁজির মালিকদের হাতে। মুনাফালোভী পুঁজির আগ্রাসী চরিত্র ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে বিশ্ববাজার নিয়ন্ত্রণ একচেটিয়া পুঁজির মালিকদের হাতে। মুনাফালোভী পুঁজির আগ্রাসী চরিত্র ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে বিশ্ববাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ও হিংস্র লোলুপতায় লগ্নি পুঁজি বহুজাতিক ও অতিকায় আন্তঃরাষ্ট্রীয় চরিত্র ধারণ করে দুনিয়াব্যাপী দাপট দেখাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বায়নের যুগে সাম্রাজ্যবাদ প্রযুক্তি বিপ্লব, নতুন বিশ্ব পরিস্থিতি ও নতুন নতুন কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে আত্মরক্ষায় আপাতত সফল হলেও সে কিন্তু ক্ষয়রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারে না। স্বভাবতই পাল্টায়নি তার আগ্রাসী গতিবিধি বরং তা হয়েছে আরো নগ্ন ও আরো হিংস্র। 

সমাজতান্ত্রিক দেশগুলো উজ্জ্বল অতিক্রম সত্ত্বেও সাম্রাজ্যবাদী লগ্নিপুঁজি বিশ্বব্যাপী অবাধ চলাচল নিশ্চিত করার জন্য জাতি রাষ্ট্রের ধারণাকে পর্যন্ত নস্যাৎ করে দিতে উদ্যত হয়েছে। অথচ, পুঁজিবাদই তার বিকাশের প্রক্রিয়াতেই জাতি রাষ্ট্রের ধারণাকে সংহত করেছিল। লগ্নিপুঁজির বিশ্বব্যাপী কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার আগ্রাসনের নেতৃত্ব দিচ্ছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ। প্রসাধনী মোড়কে সামনে রেখেছে আন্তর্জাতিক ত্রিমূর্তি- আইএমএফ, ডব্লিউটিও এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংক-কে। কিছু ক্ষেত্রে এ প্রসাধনী মোড়কটিকে বজায় রাখা হচ্ছে না- যেমন ইরাক আফগানিস্তান বা প্যালেস্টাইন। আবার বিশ্বায়নের এ প্রক্রিয়াতেই সৃষ্টি হয়েছে তীব্র বৈষম্য। এ বাস্তবতা উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় দেশের ক্ষেত্রেই সত্য এবং সমস্ত দেশের ধনী ও দরিদ্রের মধ্যেও সত্য। 

বিশ্বায়নের অগ্রগতি এখন কর্মবিহীন উন্নয়ন থেকে কর্মনাশা চালাতে তৎপর, তেমনই অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিকভাবে দেশ বা দেশের বাজার দখলের পটভূমি তৈরি করতে সেই দেশের জনগণের মগজ দখলের জন্য সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও ‘মেধাযুদ্ধ’ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এটিও মার্কিন নীতি অনুসারে একটি আগাম আক্রমণ। এজন্যই প্রচার মাধ্যমসহ নানা মাধ্যমকে ব্যবহার করে বিশেষত তরুণ প্রজন্মকে প্রভাবিত করা হচ্ছে এক মতাদর্শহীন, স্বার্থপর, ভোগবাদী সমাজ তৈরি করার জন্য। শুধু অন্ধকার নয়, আলোর দিকও আছে ঠিকই। সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নের বিরুদ্ধে নানা বৈশিষ্ট্যের প্রতিবাদী আন্দোলন ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে। 

এ ধরনের তত্ত্বের বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিবাদ ও জনসমাবেশ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নে স্বার্থপর, মতাদর্শহীন, মূল্যবোধহীন একদল যান্ত্রিক মানুষ তৈরি করার প্রক্রিয়ার শিকড় অনেক গভীরে প্রবেশ করেছে। ন্যায়সঙ্গত সমাজ তৈরি করার লক্ষ্যে যে ‘মানব কারিগর’-এর প্রয়োজন তারা হবেন ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যবাদের ঊর্ধ্বে শ্রেণি চেতনায়-সমাজ ভাবনায় উদ্বুদ্ধ মূল্যবোধে সমৃদ্ধ মানুষ- কবির ভাষায়- আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়া/বুকের মাঝে বিশ্বলোকের পাবি সাড়া। কিন্তু বর্তমান বিশ্বায়ন তরুণ প্রজন্মকে শেখানো হচ্ছে যে আদর্শ, মতবাদ, সমাজ, সংগ্রাম এসব হলো শুধু কথার কথা। 

আসল কথা হলো ‘নিজের জন্য ভাবো’। পুঁজিবাদের আমোঘ বাণী- ‘নিজে বাঁচলে বাপের নাম’। বিশ্বায়নের বার্তা বলে এ কথা প্রচার হচ্ছে যে, প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকার জন্য দেশে বা সমাজের জন্য স্বপ্ন না-দেখে নিজের জন্য স্বপ্ন দেখো। প্রতিযোগিতার এই ইঁদুর দৌড়ে পেছনে ঠেলে দেয়া হচ্ছে যাবতীয় মূল্যবোধকে। সহমর্মিতা, সৌভ্রাতৃত্ব ও সংহতিবোধকে উপেক্ষা করার জন্য প্রলোভিত ও প্ররোচিত করা হচ্ছে। ঘটা করে ‘বন্ধুত্ব দিবস’ পালন করা হলেও এমন ঘটনা দেখা যাচ্ছে যে, ঘনিষ্ঠতম বন্ধুর তুলনায় কোনো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় কয়েকটি নম্বর কম পেলেই ধরে নিচ্ছে যে বন্ধুর কাছে প্রতিযোগিতায় হেরে গেল। এমনকি এরকম ক্ষেত্রে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে হতাশাজনিত আত্মহত্যা বাড়ছে। 

অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্বার্থপরতা বাড়ছে, দায়বদ্ধতা শেষ হয়ে যাচ্ছে। সন্তান তাদের পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব পালনের জন্য সময় দিতে চাইছে না। বৃদ্ধ পিতা-মাতার জন্য বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর্থিক সঙ্গতিসম্পন্ন পরিবারগুলোতে নাতি-নাতনিদের জন্য দাদা-দাদি অপ্রয়োজনীয় হয়ে যাচ্ছেন। এরকম পরিবারগুলোতে যান্ত্রিক নিয়মে প্রতিযোগিতা ক্লিষ্ট শৈশব-জীবনের সাথী হচ্ছে টিভি ইন্টারনেট-ভিডিও গেমস। কোন খেলোয়াড়, কোন শিল্পী জনপ্রিয় হবেন তাতেও নির্দেশ দিচ্ছে প্রযোজক ও আয়োজক হিসেবে বহুজাতিক সংস্থাগুলো ও তাদের দ্বারা পরিচালিত প্রচারমাধ্যম। চিন্তাভাবনার স্বাধীনতা ও নিজস্বতা হারিয়ে যাচ্ছে। বাজার অর্থনীতিতে বাজারের দ্বারা পছন্দ, অপছন্দ, রুচি নির্ধারিত হচ্ছে। আবার এর মাঝেই সমাজের বিপুলতা অংশের শিশু-কিশোররা ক্ষুধা-দারিদ্র্য-বঞ্চনার মধ্য দিয়ে মানোন্নয়নের সমগ্র সুযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকছে। 

সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নের এ এক ভয়ানক অন্যায়-অসঙ্গত উন্নয়নে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীতে ৩৫৮টি বৃহৎ পুঁজির মালিকানার সম্পত্তির পরিমাণ পৃথিবীর ৪৫ শতাংশ মাুনষের সম্মিলিত বাৎসরিক জিডিপি অপেক্ষা বা ২৩০ কোটি মানুষের সম্পত্তি অপেক্ষা বেশি। এই তীব্র বৈষম্যকে যারা ন্যায়সঙ্গত বলে আখ্যা দিচ্ছে তাদের চাইতে বড় কপট ও অমানবিক আর কারা হতে পারে? আবার দ্বান্দ্বিক নিয়মেই নানা মাত্রায় ও নানা চেহারায় দেশে দেশে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে এই বৈষম্য ও অমানবিকতার বিরুদ্ধে। ক্রমবর্ধমান প্রতিরোধকে মোকাবিলা করার জন্য মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ প্রতিবাদী দেশগুলোর উপর অর্থনৈতিক চাপ, অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা, রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি, এমনকি সন্ত্রাসবাদী ইত্যাদি নানা অজুহাত তৈরি করে বেপরোয়া সামরিক আগ্রাসন করছে। এটাই বর্তমান সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নের বাস্তব চেহারা।

১৯৯০-৯১ বিশ্বায়নের ও নয়া উদার আর্থিক নীতির অভিযানের শুরু এবং সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপর্যয় একই সময়ে ঘটা কি নেহাতই কাকতালীয়? এ বিষয়ে গভীর বিশ্লেষণ হচ্ছে। কিন্তু এই সময় থেকেই উল্লসিত সাম্রাজ্যবাদ উদ্ধত ঘোষণা জারি করে যে- ‘পুঁজিবাদের আর কোনো বিকল্প নেই।’ সমাজতান্ত্রিক দুনিয়ার বিপর্যয়ে হচকিত ও আশাহত বিশ্বের উদ্দেশ্য সাম্রাজ্যবাদের শিরোমণি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নির্দেশিকা পাঠাতে শুরু করে- ‘সবাই আমার কাছে আত্মসমর্পণ করো’। 

মার্কিন প্রশাসন কার্যত হুমকি জারি করে চলে যে, তার অনুগামী না- হলে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করে শাস্তি দেয়া হবে। আবার এ পটভূমিতেই তথাকথিত উত্তর আধুনিকতাকেও অতিক্রম করে ফ্রান্সিস ফুকুয়ামা প্রকাশ করলেন ‘ইতিহাসের অবসান’ রচনা। বলা হলো, পুঁজিবাদী বিশ্বই হলো বিকাশের চূড়ান্ত ও অন্তিম পর্যায়। আর কোনো নতুন সমাজের জন্য, সমাজতন্ত্রের জন্য ভাবনার প্রয়োজন নেই। অতএব প্রয়োজন নেই কোনো মতাদর্শের। তাই গড়ে তোলে বিশ্বজুড়ে এক মতাদর্শহীন ভোগবাদী সমাজ। নয়া উদার আর্থিক নীতি ও মুক্ত বাজার নীতির সওয়ালকারীরা তার স্বরে ঘোষণা করতে থাকল যে, সোভিয়েত ইউনিয়ন বা সমাজতন্ত্রের বিপর্যয়ে বেদনাহত হবার কোনো কারণ নেই। কেননা, সমাজতন্ত্র নাকি ইতিহাসের একটি বড় ভ্রান্তি! 

বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক অর্থনৈতিক-সামাজিক-মানবিক সম্পদ মহান নভেম্বর বিপ্লবের ফসল সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন সমাজের সর্বক্ষেত্রে উজ্জ্বল সাফল্যের অনপনেয় ছাপ ফেলেছে তাকে নস্যাৎ করার প্রক্রিয়া শুরু হলো। কিন্তু ইতিহাসকে কি মুছে ফেলা যায়? মানব সভ্যতার শত্রু ‘হিটলার- ফ্যাসিবাদ ও অক্ষশক্তি’-কে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত করে মানবসভ্যতাকে রক্ষার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিল কমরেড স্তালিনের নেতৃত্বে পরিচালিত লালফৌজ। এই ইতিহাস-কে অস্বীকার করতে পারে? কিন্তু এই বিজয় অর্জন করার জন্য অসাধারণ আত্মত্যাগ ও বীরত্বের নজির স্থাপন করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের উন্নত মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ জনগণ। মতাদর্শহীনতা ও মূল্যবোধহীনতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম না করে একটি ন্যায়সঙ্গত সমাজ নির্মাণের সংগ্রামে সফল হওয়া সম্ভব নয়। 

এ বিশ্লেষণ অভ্রান্ত যে, ‘যতদিন পর্যন্ত না মানুষ কর্তৃক মানুষকে শোষণের ব্যবস্থার অবসান হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত সাধারণভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মানবিক স্বার্থ প্রকাশ করে এমন ভাষায় নীতিজ্ঞানকে ব্যাপক মানবিক দৃষ্টিকোণের ওপর প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না। কিন্তু সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নের দ্বারা প্রভাবিত বিদ্যমান এই পৃথিবীতে মতাদর্শগত সংগ্রামের মাধ্যমেই ভোগবাদ ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের প্রতিরোধের পাশাপাশি শ্রেণি চেতনা ও সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বৈষম্যের বিশ্বায়নের বিরুদ্ধে শক্তিশালী উপাদানরূপে প্রেরণা সঞ্চার করবে এই মতাদর্শ ও মূল্যবোধের সংগ্রাম। 

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

মানবকণ্ঠ/আরএইচটি