Image description

নির্বিঘ্নে অটোরিকশা চলাচলসহ বন্ধের নির্দেশ প্রত্যাহার এবং সময় বৃদ্ধির দাবিতে উত্তরা জসিম উদ্দিন রোড পাকার মাথার সড়কে আন্দোলন এবং এমপির অফিসের সামনে অবস্থান গ্রহণ করেন অটোরিকশা চালকরা। 

রবিবার (১৯ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অটোরিকশা চালকরা জড়ো হয়ে উত্তরা সড়ক ও মহাসড়কে আন্দোলন করেন এবং ঢাকা ১৮ আসনের এমপি আলহাজ্ব মোহাম্মদ খসরু চৌধুরীর অফিসের সামনে অবস্থান করে গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে অটোরিকশা নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য আবেদন করেন।

আবেদনে লেখা ছিল, আমাদের অধিকাংশ মালিক লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে কিন্তু পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে আমরা ঋণগুলো অদ্যাবধি পরিশোধ করিতে পারি নাই। এত চাপের পরেও আবার অটোরিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশে আমাদের জন্য মরার উপর খাড়ার ঘা এর মতন হয়েছে। আমরা এখন কোথায় যাব। অটোরিকশা বন্ধ হলে আমাদের মধ্যে অনেকেই জুয়া, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই এর মতন জঘন্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

চালকরা বলছেন, আমরা কি করে খাব। আমরা কেউ গাড়ি ভাড়া নিয়ে চালাই আবার অনেকেই শেষ সর্বস্ব বিক্রি করে একটি গাড়ি কিনেছি। সেটা চালিয়ে আমাদের সংসার চালাই। রিকশা বন্ধ করে রাখায় আমাদের ব্যাটারিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গত পাঁচ দিন আগে ৩৬ হাজার টাকা দিয়ে এক সেট ব্যাটারি লাগিয়েছি। গাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমার ব্যাটারিগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে। 

অটোরিকশা মালিক সমিতির উপদেষ্টা মনিরুল্লাহ খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বয়স্ক ভাতা চালু করেছেন, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা চালু করেছ। আমরা জানতে পেরেছি বেকার ভাতা ও চালু করবেন। তবে হঠাৎ করে অটোরিকশা বন্ধের নির্দেশনা দেয়ায়, পরিবার নিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়বেন বলে মনে করছি। তাদের মাথার উপর রয়েছে কিস্তির বোঝা। যদি রিকশা বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে চালকদের সময় বেঁধে দেওয়া উচিত। যাতে করে তারা এর মধ্যে অন্য কোন কাজ খুঁজে করতে পারে। 

উল্লেখ্য, গত ১৫ মে রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে ঢাকা উত্তর এবং ঢাকা দক্ষিণ মেয়রের নেতৃত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন।


মানবকণ্ঠ/এফআই