Image description

আমি যে মহানগরে থাকি, সেই নিউইয়র্কেও মাঝে মাঝে ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ কথাটি শুনতে হয়! এখানে একটা সিন্ডিকেট আছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। তাদের মতে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে নানা ভাবে কিছু লোক এই ‘ভুয়া সনদ’টি নিয়েছেন বা নিতে পেরেছেন। একবার নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কনস্যুলেটের একজন কর্মকর্তা আক্ষেপ করে বলেছিলেন- সরকারি অনুষ্ঠানমালায় আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের দাওয়াত দিতে গেলেই, একপক্ষ অন্যপক্ষের বিরুদ্ধে ‘ভুয়া’ বলে আঙুল তোলেন! আমরা কার কথা শুনবো!

বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক সম্মান এই সময়ে। তারা বেশ বড় অংকের ভাতাই পেয়ে থাকেন। তাদের সন্তানেরা বিভিন্ন কোটাভিত্তিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। এই কারণেই অনেকের ‘মুক্তিযোদ্ধা’ হওয়ার সখ জেগেছে বলে আমি মনে করি। কিন্তু একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কি এসব পাওয়ার জন্যে জীবন বাজি রেখে মুক্তিসংগ্রামে গিয়েছিলেন? না- যান নি। তারা দেশ মাতৃকাকে ভালোবেসেই যুদ্ধে গিয়েছিলেন। বর্তমান সরকার তাদের বিশেষ সম্মান দিয়েছে- এটা বাড়তি পাওনাই বলা যায়। কিন্তু সেই সম্মানকে হরণ করতে চাইলো কারা? এদের পরিচয় কি? সংবাদ বেরিয়েছে, বাংলাদেশে ৮ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে। কী চরম লজ্জাজনক সংবাদ! আমরা জানি, একাত্তরের পরে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানী কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি সনদ বিতরণ করা হয়েছিল। এরপরে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে, ২০১১ সালে একটি ‘লাল মুক্তিবার্তা’ হালনাগাদ করা হয়। যা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন আর্কাইভে পিডিএফ আকারে সংরক্ষিত আছে। এই তালিকার ভিত্তিতে সরকার যখন মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়া শুরু করে- তখনই দেশে বিদেশে নড়েচড়ে বসে একটি মহল! এরা নানাভাবে এই সনদ পেতে আগ্রহী হয়। এবং তারা তা বাগিয়ে নেয়। এটা খুবই হাস্যকর যে, কেউ কেউ নিউইয়র্ক, লন্ডনে বিলাসবহুল জীবন যাপন করে, বাংলাদেশে নিজের অ্যাকাউন্টে সরকারি ভাতা জমা করছে- ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লিখিয়ে।

বিশ্বে আরও অনেক দেশে যুদ্ধ থেকে ফেরা সৈনিক রয়েছেন। সরকারের কাছে তাদের সার্ভিস তালিকা আছে। সেই সুবাদে তারা সুযোগ সুবিধাও পান। কিন্তু কেউ ভুয়া পথে এমন হীন কর্ম করেন না। বাঙালিরা এমনটি কেন করছেন? আলবদর রাজাকার চক্র সবসময়ই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে হাসি তামাশা করে। কেন করে তা আমরা জানি। কিন্তু একজন মানুষ যখন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে, সমাজকে প্রজš§কে কলুষিত করে-তখন আমাদের মুখ লুকানোর জায়গা থাকে না। এই দুঃখ রাখি কোথায়? যে বিষয়টি এখন সকলের নজর কাড়ছে, তা হলো- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রায় আট হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করলেও প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে সনদ নেয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার জোর সিদ্ধান্ত এখনও পরিলক্ষিত হচ্ছে না! প্রশ্ন উঠছে, তাদেরকে দেয়া ভাতা কি ফেরত আনতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে? মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আহাদ চৌধুরী বলছেন, মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও যারা ভুয়া তথ্য দিয়ে এ তালিকায় এসে বেনিফিট নিয়েছে তারা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে এবং এদের কাছ থেকে ভাতার টাকা সরকারের ফিরিয়ে আনা উচিত।

এনিয়ে তীব্র আলোচনার মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, সেই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে জোর দিয়ে বলা হচ্ছে, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দ্রুতই জেলা-উপজেলায় এ তালিকা পাঠানো হবে। তারা যে ভাতা ভোগ করেছেন তা ফেরত আনা হবে। কেউ মারা গেলে তাদের পরিবারের সুবিধাভোগী সদস্যদের এই টাকা ফেরত দিতে হবে। আবার কেউ যদি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ব্যবহার করে যেকোনো সরকারি সুবিধা বা ছেলেমেয়ের চাকরি নিয়ে থাকেন তাও বাতিল করা হবে। এই বিষয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। দ্রুতই তা বাস্তবায়ন করা হবে। তবে অনেকে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ফিরে পেতে মামলা করেছেন। এটা আমাদের কাজে একটু বাধা সৃষ্টি করবে। অনেকে উচ্চ আদালতের আদেশ নিয়ে এসেছেন। আমরাও আইনিভাবে বিষয়টি মোকাবিলা করবো। এখানে মনে রাখা দরকার, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়। এর সঙ্গে গোটা জাতির গভীর আবেগ জড়ানো রয়েছে; মুক্তিযোদ্ধাদের আবেগ গভীরতম। সুতরাং ‘মুক্তিযোদ্ধা সনদ’ বণ্টনে যখন অনৈতিকতার চর্চা চলে, তখন ভীষণ আঘাত করা হয় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মনে।

  আজ থেকে ৫৩ বছর আগে এই বাংলায় মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল।  সেই মুক্তিসংগ্রামে যারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা। জীবন বাজি রেখে তারা যুদ্ধ করেছিলেন দেশমাতৃকার জন্য। তাদের অনেকেই আজ বেঁচে নেই। মৃত্যু, জীবনের পরিণত পরিণাম। আজ থেকে শত বছর পর এই বাংলাদেশে আর কোনো জীবন্ত মুক্তিযোদ্ধা খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা এই সত্য জানি এবং মানি। তারপরও এই দেশের রাজনীতি, এই দেশের সমাজব্যবস্থা সেই মুক্তিসেনানীদের নিয়ে নানা রকম ‘কূটচাল’ করছে। দলীয়করণ করছে। নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চাইছে। বিষয়গুলো ভাবতেই বেশ কষ্ট হয় বৈকি! বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে, সরকারি বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছিল, উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে তালিকা প্রণয়নের কাজ করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দেয়ার কাজটি এ দপ্তর করে থাকে বলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ডাটাবেজ ফরম পূরণ করার জন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। প্রশ্ন হচ্ছে তারপরও ভুয়া নাম এই তালিকায় ঢুকলো কি করে? বাংলাদেশে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা নির্ণয়ের এই প্রচেষ্টা নতুন নয়। তবে সব সময়ই তা করা হয়েছে, নিজ নিজ দলীয় আদলে। মহান মুক্তিসংগ্রামের পর আমরা দেখেছি প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানীর স্বাক্ষর করা সনদ মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে হাতে। এর পর থেকেই তা বদলেছে শাসক গোষ্ঠীর ইচ্ছে অনুসারে। মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ও একেক সময় একেক রকম তথ্য পাওয়া পাওয়া গেছে। এরশাদের আমল থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ দফায় তালিকা হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে সনদ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন প্রায় ২৬ হাজার। এর মধ্যে সাময়িক সনদ পেতে ১৭ হাজার এবং যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আরো ৮ হাজার আবেদন নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষমাণ ছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় এ সংখ্যা ছিল প্রথম দফায় ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮৮৯ জন। পরে তা ২ লাখ ১০ হাজার ৫৮১ জনে উন্নীত হয়। এর আগে ১৯৯৪ সালে বিএনপি সরকারের সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভোটার তালিকায় ৮৬ হাজার এবং ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের খসড়া তালিকায় ছিল ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯০ জনের নাম। এরশাদ সরকারের সময় ১৯৮৬-৮৭ সালে জাতীয় কমিটি কর্তৃক প্রণীত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২ হাজার ৪৫৮ জন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মুক্তিবার্তা (লাল মলাটে) পত্রিকায় প্রকাশিত নামের তালিকাকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করে। লাল মুক্তিবার্তায় ১ লাখ ৫৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় মুক্তিবার্তার লাল মলাটের বাইরে যারা মুক্তিযোদ্ধা সনদ পেয়েছেন তাদের অনেকে এখন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত হতে পারেন। অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যমান গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় প্রায় ৪০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ঢুকে পড়েছে। ডিজিটাল ডাটাবেজ তালিকায় যাদের বাদ পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু ঘটনা কি এখানেই শেষ হবে? না হবে না। কারণ বিএনপি যদি আবার কখনো ক্ষমতায় আসে তারা এই তালিকা আবার বদলাবে, সন্দেহ নেই। অথচ বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা দিন কাটাচ্ছেন অনাহারে-অর্ধাহারে। এখনো অনেক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত। সম্পদ ও কর্মহীন অনেক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার তাদের পরিবারের সদস্যদের খাদ্যের জোগান দিতে এখনো ভিক্ষাবৃত্তি, দিনমজুরি, রিকশা চালনাসহ অনেক কঠোর পরিশ্রমের পেশায় নিয়োজিত থেকে জীবন যাপন করছেন। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ধ্বংস করে, মনগড়া কল্পিত ও মিথ্যা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা করে আদর্শহীন, দুর্নীতবাজ একটি শ্রেণি ব্যক্তি ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করছে। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত, নষ্ট ও ধ্বংস হয়েছে এদের হাতেই। অন্যদিকে রাজাকার আলবদর গোষ্ঠীর নেতারা টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে কিছু মুক্তিযোদ্ধাকেও।  বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে একটি বিশেষ অংশগ্রহণ ছিল নারী সমাজের। পরিসংখ্যান অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের ৩০ লাখ মানুষের গণহত্যার শিকার হয়, যার অন্তত ২০ শতাংশ নারী। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সরকারি নথিপত্রে এর কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই। বিভিন্ন ভাষ্য মতে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে দুই লাখ মা-বোন নির্যাতিত হয়েছেন। কিন্তু মাঠভিত্তিক গবেষণা চালাতে গিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের গবেষণা কর্মীদের মনে নিশ্চিত ধারণা জšে§ছে মুক্তিযুদ্ধকালে নির্যাতিত নারীর সংখ্যা যা এতোদিন বলা হয়ে আসছে, আসলে তা এর চেয়েও অনেক বেশি।

তবে এতোদিন পর তথ্য দিয়ে হয়তো এসব প্রমাণ করার সুযোগ কম। তাছাড়া নির্যাতিতরা সামাজিক সম্মান ও নিরাপত্তার কারণেই চান না এতোদিন পর এসব নিয়ে আর ঘাঁটাঘাঁটি হোক। এসব কারণেই অনেক নির্যাতিত নারী তাদের ওপর নির্যাতনের লোমহর্ষক কাহিনী গবেষণাকর্মীদের কাছে মুখে মুখে বললেও তা টেপরেকর্ডারে রেকর্ড করতে বা লিপিবদ্ধ করতে দিতে চাননি।

আমরা জানি মুক্তিযোদ্ধারা চিরদিন আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন না। কিন্তু তাঁদের কর্ম, তাঁদের স্বপ্ন, তাদের গৌরবগাথা আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে। জাগ্রত থাকবে তাঁদের চেতনা। থাকতেই হবে। না থাকলে বাংলাদেশ থাকবে না। বাঙালি জাতিসত্তার অস্তিত্ব থাকবে না। সেই প্রত্যয় এবং ঐতিহ্যের শক্তিই প্রজš§ ধরে রাখতে চায়। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতে হবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। আমরা দেখছি আজ রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ দেবার চেষ্টা করছে। বুলি পাল্টে এরাই হতে চাইছে মুক্তির নিয়ামক। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সম্মান চান। যে দেশে কোটি কোটি টাকা লুটেরা শ্রেণি প্রতিদিন লুটপাট করে সেই দেশে একজন মুক্তিযোদ্ধা মাসে  সম্মানীভাতা পাবেন না, তা মেনে নেয়া যায় না। তাই হীন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য নয়, রাষ্ট্রীয় সম্মান, রাষ্ট্রের মানুষের সম্মান বাড়ানোর জন্যই জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক পুনর্বাসন খুবই দরকারি। দরকার পরলোকগত মুক্তিযোদ্ধদের পোষ্য, সন্তান, পরিবারকেও সার্বিক সহযোগিতা করা। কারণ একাত্তরের বীর সেনানীরা বারবার জন্ম নেবেন না।  একই সাথে এটাও বলতে চাই, যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে এই মাঠকে কলঙ্কিত করেছে- এদের বিচারের আওতায় আনা হোক। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণিত হলে, তার পৃষ্ঠপোষক কে তা বের করা হোক। মহান মুক্তিযুদ্ধকে কোনোভাবেই কালিমাযুক্ত করা যায় না। এই বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

লেখক: সাহিত্যিক ও কলামিস্ট

মানবকণ্ঠ/এসআরএস