Image description

বৃষ্টি একদিকে যেমন রহমতের, আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে আজাবও হতে পারে। এ কারণে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃষ্টি দেখলেই মহান আল্লাহর কাছে উপকারী বৃষ্টির জন্য দোয়া করতেন। হাদিসে এসেছে, হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, যখন বৃষ্টি হতো তখন হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলতেন-

اللَّهُمَّ صَيِّبًا نَافِعًا

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা সায়্যিবান নাফিয়া।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি মুষলধারায় যে বৃষ্টি দিচ্ছেন, তা যেন আমাদের জন্য উপকারি হয়।’ -সহিহ বোখারি : ১০৩২

বৃষ্টি আল্লাহর রহমতের নিদর্শন। বিশেষত দীর্ঘ দিন অনাবৃষ্টি ও তাপপ্রবাহের পর বৃষ্টি আল্লাহর অনেক বড় নেয়ামত। আল্লাহ বলেন,

وَهُوَ الَّذِي يُنَزِّلُ الْغَيْثَ مِن بَعْدِ مَا قَنَطُوا وَيَنشُرُ رَحْمَتَهُ وَهُوَ الْوَلِيُّ الْحَمِيدُ

মানুষ নিরাশ হয়ে যাওয়ার পর তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তার রহমত ছড়িয়ে দেন, তিনি-ই সকল গুণে প্রশংসিত প্রকৃত অভিভাবক। (সুরা শূরা: ২৮)

বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়। তাই এ সময় অন্যান্য দোয়াও করা উচিত। হজরত সাহল বিন সাদ (রা.) বলেন, ‘দুই সময়ের দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না কিংবা (তিনি বলেছেন), খুব কমই ফেরত দেয়া হয়- আজানের সময় এবং রণাঙ্গণে শত্রুর মুখোমুখি হওয়ার সময়ের দোয়া। অন্য বর্ণনা অনুযায়ী বৃষ্টির সময়ের দোয়া। (সুনানে আবু দাউদ: ২৫৪০)

মানবকণ্ঠ/এআই