
এক আবেগের নাম জনপ্রিয় চিত্রনায়ক মান্না। চলচ্চিত্র জগতে নানাভাবে ফিরে আসে এই অ্যাকশন হিরোর নাম। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ছিল মান্নার চলে যাওয়ার ১৬ বছর। ২০০৮ সালে ১৭ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪৪ বছর বয়সে চলে যান পরপারে।
নায়ক মান্নার পুরো নাম এস এম আসলাম তালুকদার। নিজের আসল নাম আসলাম ভাই নামেও চলচ্চিত্রে এসেছেন তিনি। মান্না ১৯৬৪ সালে ৬ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই কাটিয়েছেন শৈশব-কৈশর।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করার পর ঢাকায় একটি বিজ্ঞাপন দেখে বদলে যায় মান্নার জীবন। নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থিত বলাকা সিনেমা হলে গিয়ে ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ বিজ্ঞাপন দেখতে পান।
১৯৮৪ সালে এফডিসির ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রমের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে তার আগমন ঘটে। একই প্রক্রিয়ায় সে সময় মান্নার সঙ্গে আরও চলচ্চিত্রে এসেছিলেন খালেদা আক্তার কল্পনা, নায়ক সুব্রত, নায়ক সোহেল চৌধুরী, নিপা মোনালিসা। তবে তাঁদের ছাপিয়ে গেছেন নায়ক মান্না।
মান্না অভিনীত প্রথম ছবির নাম ‘তওবা’ হলেও প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘পাগলী’। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন মান্না।
১৯৯১ সালে মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত ‘কাসেম মালার প্রেম’ ছবিতে প্রথম একক নায়ক হিসেবে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। এটি ব্যবসা সফল হওয়াতে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর কাজী হায়াত পরিচালিত ‘দাঙ্গা’ ও ‘ত্রাস’ সিনেমার মাধ্যমে তার একক নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া সহজ হয়ে যায়।
মান্না শুধু নায়কই ছিলেন না, ছিলেন সফল প্রযোজকও। ১৯৯৭ সালে প্রযোজকের খাতায় নাম লেখান মান্না। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম ‘কৃতাঞ্জলি চলচিত্র’।
১৯৯৭ থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত (২০১০ এর ফেব্রুয়ারি) মান্না একাই বাংলা চলচ্চিত্রকে টেনে নিয়ে গেছেন। সেসময় এতো বেশি সুপারহিট ব্যবসা সফল ছবি আর কোনো নায়কের ছিল না। ঢাকাই ছবির অত্যন্ত জনপ্রিয় নায়ক হয়েও সবচেয়ে বেশি গুন্ডার অভিনয় করেছেন। সবচেয়ে বেশি পুলিশের অভিনয়টাও তার ঝুলিতে।
মানবকণ্ঠ/আরএইচটি
Comments