Image description

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই) বলেছেন, পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে পেশী শক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ব থাকে না, অবৈধভাবে ভোট কেন্দ্র দখল, ভোট ডাকাতীর মহোৎসব, সহিংষতা নৈরাজ্য, জিঘাংসা, অস্থিরতা, হানাহানি, অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা থাকেনা। 

তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কারের পরে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে  ইসলামী আন্দোলন অনঢ়। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না দিলে দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা দাবী আদায় রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।

রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর ও জেলার আয়োজিত গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম (শায়েখে চরমোনাই) একথা বলেন। 

মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের ফলে নিবন্ধিত প্রায় প্রত্যেকটি দলের ভোটের আনুপাতিক হারে প্রতিনিধি জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবেন, কোন দল বা সংস্থা, গোষ্ঠী, যে কোন পেশাজীবী সংগঠন তথা আপামর জনগনের নতুন কোন দাবী আদায়ের ক্ষেত্রে পার্লামেন্টেই আলোচনা-পর্যালোচনার মাধ্যমে যাবতীয় মৌলিক সমস্যার সমাধান হবে, এতে করে পার্লামেন্টেই হবে সামাজিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ন বিষয়ের আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু।

ফয়জুল করীম আরো বলেন, বিশ্বের প্রায় ৯১টির বেশী দেশ কোনও না কোন প্রকারের পিআর পদ্ধতি অনুসরণ করে সুফল পাচ্ছে। এর মধ্যে শতভাগ পিআর পদ্ধতি ব্যবহার নির্বাচন আয়োজন হয়ে থাকে- বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন ইত্যাদি দেশ সমূহে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবী করে আসছে। এ দাবী দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন এ সময়ের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন গণ-দাবী। অথচ একটি দল পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের বিরোধিতা করে আসছে। তারা আমাদের দেশের বৈরী রাষ্ট্রের এজেন্ডা এ বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করার হীন অপচেষ্টায় লিপ্ত।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মুফতী সৈয়দ এহছান মুহাম্মদ আবুল খায়ের, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন। 

সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগরের সভাপতি প্রফেসর মুহাম্মদ লোকমান হাকীম।