
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) থেকে সকল প্রকার দলীয় লেজুড়বৃত্তি ভিত্তিক রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে জয়ী হওয়া জাকসুর নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) আব্দুর রশিদ জিতু।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ফলাফল ঘোষণার পর সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, আমরা দেখেছি যে দলীয় লেজুড়বৃত্তি কেন্দ্রিক রাজনৈতিক চর্চার কারণে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক লাইফ কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শতভাগ নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে আমাদের যেভাবে কাজ করা দরকার, আমরা সেভাবেই কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।
জিতু বলেন, আমাদের একটি যৌক্তিক চাওয়া ছিল, যৌক্তিক অধিকার ছিল তা থেকে আমরা বঞ্চিত ছিলাম। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমাদের সে অধিকারটি ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা রাজপথে ছিলাম। এখন আমি মনে করি জাকসুর অফিসিয়াল ফলাফল ঘোষণার মাধ্যমে আমরা আমাদের সেই অধিকার ফিরে পেয়েছি।
তিনি বলেন, জাকসুর নেতা বা ভিপি হওয়ার ইচ্ছা আমাদের ছিল না। আমাদের ইচ্ছা ছিল শিক্ষার্থীরা ৩৩ বছর যে অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল সে অধিকারটা ফিরিয়ে দেওয়া।
আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, জাকসু বাস্তবায়নের জন্য আমরা দীর্ঘদিন সংগ্রাম করে এসেছিলাম। ২০১৩ সালে একবার জাকসু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাখনকার সরকার তা বাস্তবায়ন হতে দেয়নি। ২০১৯ সালে যখন ডাকসু হয় তখনও জাকসু নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন সরকার তা হতে দেয়নি।
নির্বাচন পরবর্তী পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক প্যানেল থেকে এখানে নির্বাচিত হয়েছে। ইসলামী ছাত্রশিবির থেকে ২৫টি পদের মধ্যে সর্বোচ্চ পদে জয়ী হয়েছে। আমার প্রথম কাজ থাকবে যারা নির্বাচিত হয়েছে সবাইকে নিয়ে দল-মত নির্বিশেষে একটি ইনক্লুসিভ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, স্বতন্ত্র প্যানেলের আব্দুর রশিদ জিতু ৩৩৩৪ ভোট পেয়ে ভিপি পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের আরিফ উল্লাহ পেয়েছেন ২৩৯২ ভোট। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল পেয়েছেন ১২১১ ভোট। আর ছাত্রদলের মো. শেখ সাদি হাসান পেয়েছেন ৬৪৮ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলাম ৩৯৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরামের আবু তৌহিদ মো. সিয়াম পেয়েছেন ১২৩৮ ভোট। ছাত্রদলের তানজিলা হোসাইন বৈশাখী পেয়েছেন ৯৪১ ভোট।
Comments