Image description

এই সরকার ৫ বছর থাকুক, এখন কারো মুখে এ কথা শোনা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি বলেন, ‘একটা সময় কিন্তু অনেকে বলছিল যে এই সরকারকে আমরা পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই। আজকে আমি একজনের মুখ থেকেও এই কথা শুনলাম না। মানুষ কিন্তু বুঝতেছে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে আসলে ওভাবে সব কিছু কন্ট্রোল করা সম্ভব নয়।

কারণ এই সরকারের কোনো পলিটিক্যাল পার্টি নেই। এই সরকারকে আমরা সবাই মিলে সহযোগিতা করছি।’ সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে আলোচনার সময় এ কথা বলেন রাশেদ খান।  অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা কতটুকু সহযোগিতা করছি? আমাদের যতটুকু প্রয়োজন।

দেখেন যারা আমরা দলগুলো রয়েছি আমাদের ভেতরে কেউ কেউ চেয়েছিল যে সরকার দীর্ঘমেয়াদি থাকুক। কারা এই চিন্তা করেছে? যারা সরকারের আসলে সুবিধাভোগী বা সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন সুবিধা পেয়েছে।’

সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে গণ অধিকার পরিষদসহ সাতটি রাজনৈতিক দল। তার আগে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির প্রতিনিধিদলও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

বৈঠকে আগামী নির্বাচন ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। ওই বৈঠকে গণ অধিকার পরিষদের প্রতিনিধিদলে রাশেদ খান ছিলেন।

ওই বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে বলেছেন যে নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাসেই হবে। আমরা যে ধরনের ঘোষণা দিয়েছি তার বাইরে যাব না। আজকে আমি দেখলাম যারা আসলে সাধারণ মানুষ তারা অনেকে আসলে বিভ্রান্ত।

এর কারণটা মূলত আমরা রাজনৈতিক দলগুলো। কারণ আমরা কেউ কেউ বলছি যে নির্বাচন হতে দেব না। কেউ আবার নতুন নতুন বিভিন্ন পদ্ধতির কথা বলছি। সব মিলিয়ে মানুষ কিন্তু খুব কনফিউশনের মধ্যে আছে। আমি সাধারণ মানুষকে দায় দেব না। দায় দলগুলোকে নিতে হবে।’