
আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলকে দলের নেতা-কর্মীরা বেধড়ক মারধর করে লাঞ্ছিত করেছে। এসময় আতাউর রহমানের জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়। পা ভেঙে দেওয়া হয়।
রোববার বেলা ১ টায় বন্দরের ২৭ নাম্বার ওয়ার্ডের হরিপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে সোনারগাঁও বিএনপির সহ-সভাপতি বজলুর রহমানের দিকে। বজলুর রহমান সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিমের অনুসারী।
স্থানীয়রা জানায়, ৪১২ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন হরিরামপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র সংস্কারে শ্রমিক নিয়োগের টেন্ডার পেয়ে দুপুর একটার দিকে সেখানে কয়েকজন পুলিশসহ সাবেক চেয়ারম্যান মুকুল ও তাঁর লোকজন যায়। এ সময় তারা গাড়ি থেকে নামার পরপরই সেখানে থাকা সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বজলুর রহমানসহ লোকজন তাঁকে গালমন্দ করে মারধর শুরু করে। এ সময় আতাউর রহমান মুকুলের জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় পা। এ সময় সেখানে থাকা পুলিশ তাঁদের বাধা দিয়ে মুকুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করায়। পরে তাঁকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
আহত সাবেক চেয়ারম্যান মুকুল অভিযোগ করে বলেন, ‘বন্দরের হরিপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিক সরবরাহের একটি টেন্ডার আমরা পেয়েছি। আজকে এই কাজের ওয়ার্ক অর্ডার সিগনেচার করার শেষদিন ছিল। এখানে ঝামেলা হতে পারে এই চিন্তা করে আগেই থানায় জিডি করে রাখি ও সাথে চারজন পুলিশ নিয়ে হরিপুর আসি। গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথেই সোনারগাঁয়ের বিএনপি নেতা বজলু ও তাঁর ৪০/৫০ জন লোক আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা মারধর করে আমার জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। সেখানে থাকা দুই পুলিশ সদস্যকেও তারা মারধর করে।’
অভিযোগের বিষয়ে সোনারগাঁ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি বজলুর রহমান বলেন, ‘২৭ নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দোসর আলাউদ্দিন একটি ঠিকাদারি নিয়েছে। তাঁর পক্ষ নিয়ে মুকুল আসছেন কাজ করতে। এতে বিক্ষুব্ধ জনতা তাঁকে হেনস্থা করেছে। আমার এই বিষয়ে কিছু জানা নেই।’
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিয়াকত আলী জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি কাজ নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ থেকে তাঁর ওপর হামলা হয়েছে। হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় ওসি।
Comments