Image description

জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) 'শাপলা' প্রতীক বরাদ্দ দিতে কোনো আইনি বাধা নেই বলে বিবৃতি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেনসহ ১০১ জন আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিনা আক্তার লাভলী এবং লাবাবুল বাসার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রেরণ করা হয়।

বিবৃতিতে আইনজীবীগণ বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪(৩), The Bangladesh National Anthem, Flag and Emblem Order, 1972 এর ধারা ৪, Bangladesh National Emblem Rules, 1972 এর বিধি ৩ এবং অন্যান্য বিদ্যমান আইন অনুসারে জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির শাপলা প্রতীক বরাদ্দ পেতে কোনো আইনগত বাধা নেই। ১৯৭২ সালের অর্ডারের ৩য় তফসিল এবং ১৯৭২ সালের বিধিমালার পরিশিষ্ট-কতে ধনজাতীয় প্রতীকের নকশা অংকিত আছে। উক্ত নকশা অনুযায়ী জাতীয় প্রতীক হচ্ছে লালচে এবং হলুদ রঙের যুগল বৃত্তের ভেতরে লালচে এবং হলুদ রঙে অংকিত পানির ওপর ভাসমান শাপলা ফুল, দুপাশে দুটি ধানের শীষ, উপরে তিনটি সংযুক্ত পাট পাতা যার ঠিক দুই পাশে দুটি করে চারটি তারকা-এর সন্নিবেশ ও সামষ্টিক রূপ। অর্থাৎ জাতীয় প্রতীকের নকশা এবং রঙ ১৯৭২ সালের অর্ডারের ৩য় তফসিল ও বিধিমালার পরিশিষ্ট-ক দ্বারা সুনির্দিষ্ট। তাছাড়া জাতীয় প্রতীকের শাপলাটি পানিতে ভাসমান কিন্তু এনসিপি ‘ভাসমান শাপলা’ প্রতীক হিসেবে চায়নি।

সর্বোপরি, শাপলা জাতীয় প্রতীকের চারটি স্বতন্ত্র উপাদানের একটি মাত্র উপাদান। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল - বিএনপিকে জাতীয় প্রতীকের চারটি উপাদানের একটি উপাদান ‘ধানের শীষ’ বরাদ্দ দিয়েছে এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (জেএসডি) আরেকটি উপাদান ‘তারা’ প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দিয়েছে। সেহেতু নির্বাচন কমিশন জাতীয় নাগরিক পার্টিকে ‘শাপলা’ বরাদ্দ দিতে পারে।

এছাড়াও নির্বাচন কমিশন জাতীয় ফলকে (কাঁঠাল) ইতোমধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দিয়েছে এবং তৃণমূল বিএনপি নামের আরেকটি দলকে ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে। সুতরাং ‘শাপলা’ জাতীয় ফুল হলেও দলের প্রতীক হিসেবে এনসিপির এটি পেতে আইনগত কোনো বাধা নেই।

বিবৃতিতে বলা হয়, ধানের শীষ, শাপলা, পাটপাতা এবং তারকা আলাদা আলাদা করে চারটি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়। আর এই চারের সমষ্টিই হচ্ছে জাতীয় প্রতীক যা দুই রঙের দুটি বৃত্ত দ্বারা পরিবেষ্টিত। জাতীয় প্রতীকের উপাদানের মধ্যে দুইটি উপাদান ইতোমধ্যে দুইটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে বরাদ্দকৃত। সুতরাং প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণসাপেক্ষে এনসিপির নিবন্ধিত হবার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আইন মোতাবেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবং প্রতীকের তালিকায় সংযোজনপূর্বক শাপলা প্রতীকটি এনসিপিকে বরাদ্দ দিবে বলে বিবৃতিদাতা আইনজীবীগণ আশা প্রকাশ করেন।

জনগণকে বিভ্রান্ত না করার লক্ষে সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনানুগ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও মতামত প্রদানের জন্যও বিবৃতিদাতা আইনজীবীবৃন্দ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা আইনজীবীদের তালিকা:

১. জনাব মোহাম্মদ হোসেন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট

২. অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ মারুফ

৩. অ্যাডভোকেট রুহি সামসাদ

৪. অ্যাডভোকেট রোকেয়া বেগম

৫. অ্যাডভোকেট মো. তারেক ফয়সাল

৬. অ্যাডভােকেট মো. আতিকুর রহমান

৭. অ্যাডভােকেট মনির হোসেন

৮. অ্যাডভোকেট গোলাম সাকলাইন

৯. অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ এরশাদুল বারী খন্দকার

১০. ব্যারিস্টার মো. রিজওয়ান সামাদ

১১. ব্যারিস্টার মো. মাজহারুল ইসলাম

১২. অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান

১৩. অ্যাডভোকেট বেলাল হোছাইন

১৪. অ্যাডভোকেট মো. আলীমুল্লাহ মিয়া

১৫. অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক

১৬. অ্যাডভোকেট এম এ রব

১৭. অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম

১৮. অ্যাডভোকেট সোয়াইব হোসেন

১৯. অ্যাডভোকেট শোয়েব আকতার

২০. অ্যাডভোকেট মেসবাহ উদ্দিন

২১. অ্যাডভোকেট শামীম হোসেন

২২. অ্যাডভোকেট এস এম রাসেল

২৩. অ্যাডভোকেট জারিফ কবির

২৪. অ্যাডভোকেট শেখ রাউফুল ইসলাম

২৫. অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান রানা

২৬. অ্যাডভোকেট আবির হোসেন তালুকদার

২৭. অ্যাডভোকেট মো. তানজিমুল বারী

২৮. অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন

২৯. অ্যাডভোকেট তাজফির আলম

৩০. অ্যাডভোকেট রাইসুল আমিন

৩১. অ্যাডভোকেট ইনতিশা তাবাসসুম

৩২. অ্যাডভোকেট মো. তৌহিদুর রহমান

৩৩. অ্যাডভোকেট মুতাসিম বিল্লাহ খন্দকার

৩৪. অ্যাডভোকেট হৃদয় হোসেন

৩৫. অ্যাডভোকেট মো: আবু বকর

৩৬. অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম জীবন

৩৭. অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান

৩৮. অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন

৩৯. অ্যাডভোকেট মো: জহিরুল ইসলাম

৪০. অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম

৪১. অ্যাডভোকেট এনামুল হক

৪২. ব্যারিস্টার রাফি জি রহমান

৪৩. অ্যাডভোকেট আল রেজা মো: আমির

৪৪. অ্যাডভোকেট এম মাহমুদুল হাসান

৪৫. অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ সারোয়ার

৪৬. অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম

৪৭. অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান

৪৮. অ্যাডভোকেট ফারহানা

৪৯. অ্যাডভোকেট আর এস এম দুর্বার

৫০. অ্যাডভোকেট বাচ্চু মিয়া

৫১. অ্যাডভোকেট শেখ লালন আহমেদ

৫২. অ্যাডভোকেট বাকি বিল্লাহ্

৫৩. অ্যাডভোকেট মো. মেহেদী হাসান ভূঁইয়া

৫৪. অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইব্রাহিম

৫৫. অ্যাডভোকেট কেএম আবু কায়সার

৫৬. অ্যাডভোকেট মির মো. শাওন আহমেদ

৫৭. অ্যাডভোকেট আব্দুল বাছেত শামীম

৫৮. অ্যাডভোকেট মাইনুদ্দিন মানিক

৫৯. অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন

৬০. অ্যাডভোকেট মোঃ আশিকুর রহমান

৬১. অ্যাডভোকেট মো. মোবারক হোসেন

৬২. অ্যাডভোকেট এমদাদুল্লাহ মোল্লা

৬৩. অ্যাডভোকেট মাহবুব মোর্শেদ মজুমদার তারেক

৬৪. অ্যাডভোকেট পাপিয়া সুলতানা

৬৫. অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল

৬৬. অ্যাডভোকেট মো. মামুন

৬৭. অ্যাডভোকেট কাজী আকবর আলী

৬৮. অ্যাডভোকেট মো. মোস্তফা কামাল

৬৯. অ্যাডভোকেট বায়েজিদ

৭০. অ্যাডভোকেট ইয়াসিন আরাফাত সাজ্জাদ

৭১. অ্যাডভোকেট মো. সরওয়ার হামিদ পিয়াল

৭২. অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান সামি

৭৩. অ্যাডভোকেট নাসির আলী

৭৪. অ্যাডভোকেট মুহিবুল্লাহ মুহিব

৭৫. অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন

৭৬. অ্যাডভোকেট মো. হেফাজ উদ্দিন

৭৭. অ্যাডভোকেট আনোয়ার আলম খোকন

৭৮. অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান

৭৯. অ্যাডভোকেট আব্বাস আলী খান জাবেদ

৮০. অ্যাডভোকেট মো. সেলিম

৮১. অ্যাডভোকেট নুরুল আবছার গাজী

৮২. অ্যাডভোকেট আফতাব আহমেদ

৮৩. অ্যাডভোকেট আনাস বিন জাহিদ

৮৪. অ্যাডভোকেট আবু জাহিদ

৮৫. অ্যাডভোকেট মিনহাজুল আবেদীন

৮৬. অ্যাডভোকেট এস এম আসলাম

৮৭. অ্যাডভোকেট মু. শহীদ

৮৮. অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান

৮৯. অ্যাডভোকেট খাইরুল বাশার পারভেজ

৯০. অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম

৯১. অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইমরুল মাহমুদ

৯২. অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম আকিব

৯৩. অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন

৯৪. অ্যাডভোকেট সাইফুল্লাহ

৯৫. অ্যাডভোকেট মেহেদী চৌধুরী

৯৬. অ্যাডভোকেট মুহা. মুজাহিদুল ইসলাম

৯৭. অ্যাডভোকেট কাজী আব্দুর রহিম

৯৮. অ্যাডভোকেট মনির হোসেন

৯৯. অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক

১০০. অ্যাডভোকেট আমিনা আক্তার লাভলী

১০১. অ্যাডভোকেট লাবাবুল বাসার