গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন ১২ জনকে আটকের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তাদের কাউকে এখনো গ্রেফতার দেখানো হয়নি। 

সোমবার সকালে আটকের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। রাতে আটকের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানা গেছে।
 
এর আগে হাসনাত আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীদের ওপর হামলার ঘটনায় ৪ জনকে আটকের কথা জানায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
 
আটকদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- গাজীপুর মহানগর যুবলীগের সদস্য মো. নিজাম উদ্দিন এবং কাশিমপুর থানার শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি মাসুম আহমেদ দিপু। 
 
জিএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে আটক বাকিদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তার কাছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।

গাড়িচালকের ভাষ্যমতে, পেছন থেকে মোটরসাইকেলযোগে ৮-১০ জন দুর্বৃত্ত এসে হামলা করে। হামলায় গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরপরই এলাকায় ব্যাপক অভিযান শুরু হয়।

রোববার সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে হাসনাতের ওপর হামলার কথা জানান এনসিপি’র আরেক মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। হাসনাতের লোকেশন জানিয়ে তাকে উদ্ধারে দলের নেতাকর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আহবান জানান তিনি।
 
ফেসবুক পোস্টে সারজিস লেখেন, হাসনাতের গাড়িতে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী গাজীপুর এলাকায় হামলা চালিয়েছে। গাড়ির গ্লাস ভেঙে গিয়েছে, হাত রক্তাক্ত হয়েছে। আশপাশে যারা আছেন হাসনাতকে প্রটেক্ট করুন, কমেন্টে লোকেশন দিচ্ছি।
 
সারজিসের পোস্ট অনুযায়ী, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় হাসনাতের গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। 
 
এদিকে, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীদের ওপর হামলার ঘটনায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।