অনেক কিছুই ‘জাতীয়’ আছে আমাদের, শুধু নেই জাতীয় পোশাক। প্রায় সব শ্রেণির পুরুষ লুঙ্গি-শার্টে, অনেক নারীই শাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। সরকারিভাবে ঘোষিত জাতীয় কোনো পোশাক নেই বাংলাদেশের। যদিও বিভিন্ন সময়ে জাতীয় পোশাক প্রবর্তনের ক্ষীণ দাবি উঠেছিল। একবার জাদুকর জুয়েল আইচ প্রচারমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘বিদেশে যখন যাই, আমার পোশাক-পরিচ্ছদের মাধ্যমে দেশকে রিপ্রেজেন্ট করি।’ কয়েক বছর আগে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ জাতীয় দৈনিকে শাড়িবিষয়ক গদ্য লিখে তুমুল বিতর্ক উসকে দিয়েছিলেন।
জাতীয় পোশাকে পক্ষ-বিপক্ষ নিশ্চয়ই থাকবে। তবে জাতীয় পোশাক প্রবর্তন করা গেলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচয় বিকশিত হবে আরও। এখনকার দিনে চেহারা দেখে কারও দেশ নির্ণয় করা যায় না, বোঝা যায় না নাগরিকত্ব। কিন্তু জাতীয় পোশাক প্রচলিত হলে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ সহজেই বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিদের চিনতে ও জানতে পারবে। এর বাইরে যার যার পছন্দের পোশাক পরিধানের স্বাধীনতা থাকবেই। জাতীয় প্রবর্তন ও প্রচলন মানে তো চাপিয়ে দেয়ার কিছু থাকবে না। কারও ইচ্ছা হলে পরবেন, নইলে না।
পোশাক দিয়েই তো চেনা যায় মানুষকে, নানাভাবে! পাঠ্যবইয়ে পড়া ইরানের কবি শেখ সাদীর ‘পোশাকের মর্যাদা’ গল্পের কথা নিশ্চয়ই আমরা বিস্মৃত হইনি। সরাইখানায় এসেছেন সাদামাটা পোশাক পরিহিত জনৈক মুসাফির, তাকে দেখে সেবকদের কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কেউ মনে হলো না। তাই সাধারণ খাবার খাইয়ে যেনতেনভাবে ঘুমাতে দিল। সেই একই ব্যক্তি কিছুদিন পরে দামি পোশাক পরে এলেন। এবার আদর-যত্ন জুটল ভালোই। মুখরোচক খাদ্য ও সুপেয় পানীয় এলো। কিন্তু অতিথি কিছুই না খেয়ে খাবারগুলো পোশাকের পকেটে ঢোকাতে থাকেন। হায় হায় করে উঠল পরিবেশনকারীরা- এসব কী হচ্ছে!
অতিথি জবাব দিলেন, ‘একই মানুষ এসেছে সাত দিন আগে আর পরে, কেবল বদল হয়েছে তার পোশাক। সুতরাং দামি দামি এসব খাবার পোশাকেরই প্রাপ্য।’ বলা হয়তো অনুচিত হবে না- এসব শিক্ষণীয় গল্প থেকে আমরা কিছুই শিখি না। জীবনযাপনে প্রতিফলন ঘটাই না। ছেলেপেলেরা বোধকরি নিছক পরীক্ষা পাসের জন্যই এসব পড়ে। এখনো আমরা পোশাক-আশাক, গাড়ি-বাড়ি দেখেই মানুষকে মূল্যায়ন করি। এমনতর মূল্যায়ন ও দৃষ্টিকোণ যে সঠিক-নিরপেক্ষ নয়- সেই ভেদবুদ্ধিটুকুও গিলে খেয়ে বসে আছি!
কোনো কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার ড্রেসকোড বলে দেয়া হয় আগে থেকেই। হামবড়া ভাবের কারণে তারা এটা অনুধাবন করতে পারে না- কে কী পরবেন সেটা নির্ধারণ করে দেয়ার আমরা কে! কেন রে বাপু, আমি কী পরব, না পরব সেটা ঠিক করে দেয়ার তুমি কে? তোমার পছন্দ মানতে গেলে নিজের রুচি ও স্বাচ্ছন্দ্য যে বেহাত হয়ে যায়! ঢাকা ক্লাবসহ কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে ‘স্বাধীন’ পোশাক পরে প্রবেশ করা যায় না। ঢাকা ক্লাবে ইন-করা শার্ট-প্যান্টের সঙ্গে পা-মোড়ানো সু পরতে হয়। অন্যথায় প্রবেশ নিষেধ!
একবার কবি ও তাত্ত্বিক ফরহাদ মজহার লুঙ্গি পরে যাওয়ার কারণে এলিটদের এই ক্লাবে প্রবেশ করতেই পারলেন না। নিরাপত্তাকর্মীরা ফিরিয়ে দিল তাকে। বছর দশেক আগে শাহবাগের রাস্তায়, জাতীয় জাদুঘরের সামনের এক আলোচনা সভায় অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাতের বক্তব্য শুনেছিলাম। তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন, বাংলাদেশের কৃষকদের সঙ্গে সচিবদের দূরত্ব এতটা থাকবে কেন!
সচিবরা তো এই প্রজাতন্ত্রেরই চাকর। সচিবরা প্যান্ট পরেন আর কৃষকরা লুঙ্গি। অথচ হওয়ার কথা ছিল উল্টোটা- কৃষকরা পরবেন প্যান্ট আর সচিবরা লুঙ্গি। কৃষক-শ্রমিকরাই যে অর্থনীতির চাকা বেগবান করে রাখেন, এটা প্রজাতন্ত্রের চাকররা অনুধাবনে রাখতে পারেন না বলেই মাঝে-মধ্যে হাস্যকর সব সংবাদ পরিবেশিত হয়। যেমন- স্যার সম্বোধন না করায় গোস্বা করেছেন অমুক অফিসের বড় কর্তা বা বড় কর্ত্রী।
‘স্যার’ যদি কেউ হয়ে থাকেন সেটা বাংলাদেশের কৃষক, শ্রমজীবী মানুষ। তারা প্রতিদিন দেশের মানুষের মুখে আহার তুলে দিচ্ছেন। সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখছেন। অকৃতজ্ঞরা বুঝতে পারে না বলেই ডাঁটবাট দেখায়, প্রভু হয়ে মাথায় চড়ে! বস্তুত, নিজের গোঁয়ার্তুমির কারণে হোক কিংবা স্বভাবগতভাবে- আমি পোশাক-আশাকের বেলায় বরাবরই উদাসীন। তাই কখনোই আমাকে তেমন কারও ‘চোখে লাগে না’। একবার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে গিয়েছিলাম, সাবেক সহকর্মীর কাছে। রিসেপশনে জানালাম, কার কাছে এসেছি। সেখান থেকে উল্টো বলা হলো, ‘আপনি কল দেন।’
আমিই যদি কল দেব তাহলে এত আয়োজনের দরকার কী, সিকিউরিটি নামক বাধাইবা সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে কেন! সেকথা বলতেই শুনতে হলো- ‘স্যার তো আপনার-আমার মতো কেউ নন!’ এবার আমি রাগ করতে গিয়ে হেসে ফেললাম। তাকে জবাব দিলে দিতে হতো- স্যার আপনার-আমার মতো কেউ নন, কথাটা বিলকুল মিথ্যা। এটাকে বড়জোর বলা যেত- স্যার তো আমার মতো নন! কিন্তু খেদটা গিলে ফেলতে হলো। দোষ তো আমার পোশাকে, চেহারা মোবারকখানাতেও খানদানি ভাব নেই।
অভ্যর্থনাকর্মী থেকে নিরাপত্তাকর্মী সহজেই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে পারে। অবশ্য পোশাক বিড়ম্বনা আমার এটাই প্রথম নয়। মেস জীবনেও বারবার ভদ্রলোকের পোশাকের অভাব অনুভূত হয়েছে নিকটজনদের কাছে। রুমমেট কাউছার মামা এদিক থেকে স্মার্ট ছিলেন। দরজার বাইরে থেকে ভিখারিণী ভিক্ষা চাইল একবার। মামা তাকে অপেক্ষা করতে বলে লুঙ্গি পাল্টে চটজলদি থ্রি কোয়ার্টার প্যান্টটা পরে নিলেন। এরপরই খুললেন দরজা! লুঙ্গি নিয়ে আমি অন্তত দুইবার বড় ধরনের বিপাকে পড়েছি।
একবার ধানমণ্ডির আমাদের মেস থেকে লুঙ্গি পরেই চলে গেলাম শ্যামলীস্থ আত্মীয়ের বাসায়। খবরটা হাস্যরসের রসদ জোগাল। লুঙ্গি পরে ভূতের গলি থেকে ল্যাবএইড পর্যন্ত কীভাবে হেঁটে গেলাম, বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে কীভাবেইবা শ্যামলীর বাসে উঠলাম হিসাব মেলাতে পারল না বাসার কেউই! তারপর বাসা পাল্টে এলো ফ্রি স্কুল স্ট্রিটে। নতুন বাসা, নতুন মানুষ। সকাল হলেই পত্রিকা পড়ার বাতিক। এছাড়া একটু হাঁটাহাঁটিসহ প্রয়োজনীয় কিছু কাজ তো থাকেই।
হাতিরপুল বাজারে গিয়ে মেসের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে হয়। ফার্মগেট, গ্রিন রোড, ধানমণ্ডির বিভিন্ন সেকশন, শাহবাগ-টিএসসি এসব যেন আমার বাড়ির আঙিনা। গ্রামের সুখী গৃহস্থ যেমন ঘুম ভাঙলে মেসওয়াক করতে করতে বাড়ির চারপাশ একটু চক্কর দেন, গাছপালা ক্ষেত-খামার দেখে-শুনে রাখেন- আমার অবস্থাও অনেকটা তেমনই। কিন্তু না, লুঙ্গি পরার সুখের দিন বুঝি ‘সোনার খাঁচায় রইল না’। অভিযোগ গেল বন্ধুবর মাসুদ রানার কাছে। মাসুদ রানা তরুণ বুদ্ধিজীবী, সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল’র সহ-সম্পাদকের চাকরি ছেড়ে বর্তমানে দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে কাজ করছেন।
যেখানে আমার বাসা, অনেক লেখক সাংবাদিক চলচ্চিত্রকর্মী সম্পাদকরাও থাকেন আশপাশে। মোরশেদুল ইসলাম থেকে মাসুদ পথিক, মোজাফ্ফর হোসেন, সব্যসাচী হাজরা থেকে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, আঁখি সিদ্দিকা-কে নেই! কারও কারও সঙ্গে পরিচয়ও আছে। প্রতিবেশীদের একজন মাসুদ রানাকে অভিযোগ জানাল, আমার লুঙ্গি পরা দেখে তার মাথা কাটা যায়! সঙ্গত কারণেই তার নামটা জানাচ্ছি না। কিছুদিন পরে অফিসের অর্থ তছরুপের খবর এলো অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে। যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করত, মোটা অঙ্কের দাঁও মেরেছে।
দুর্নীতির অভিযোগে তার চাকরি চলে যায়। সুন্দর পোশাকপরা অর্থ আত্মসাৎকারী আরেকজনের ঘটনাও প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ করা যায়। করোনার প্রথম শহীদ প্রয়াত সাংবাদিক হুমায়ুন কবির খোকন একটি দৈনিক পত্রিকায় আমার চাকরির ব্যবস্থা করেছেন। জয়েন করার আগে সেখানে ভেটো দিল আমাদেরই একজন বন্ধু। সম্পাদককে বোঝাল- ও তো (আমি) গোসল করে না।
গায়ে গন্ধ থাকে। নোংরা জামাকাপড় পরে। আর খুব রাগী। বেতন কম হলে প্রতিষ্ঠানকে গালমন্দ করে অল্প দিনেই চাকরি ছেড়ে দেয়! এমন কূটচালের কারণে সেখানে আমার চাকরি হয়নি, হুমায়ুন কবির খোকনও যুক্তি খণ্ডাতে যাননি। পরে তো নানাবিধ দূষণ ছড়িয়ে পড়ল দিকে দিকে। পুরুষের পোশাকে নারীদের খুব চমৎকার মানিয়ে যায়। জিন্স প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি থেকে ফতুয়া সবকিছুতেই। কিন্তু নারীদের পোশাক পরিধান পুরুষের জন্য তেমন সুখকর অভিজ্ঞতা দেয় না। যে কারণে নারীরা পুরুষের পোশাক গ্রহণ করলেও পুরুষরা পিছিয়ে।
পবিত্র রমজান মাসে পোশাক পরিচ্ছদে কিছুটা পরিবর্তন আসে।
বিশেষ করে টেলিভিশনের নারী সংবাদ উপস্থাপকরা মাথায় কাপড় দেন তখন। এ বিষয়ে সাপ্তাহিক যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান একবার তার ‘দিনের পর দিন’ কলামে লিখেছিলেন- সংবাদপাঠিকারা যদি এ সময়ে ঘোমটা আবৃত পোশাকে সজ্জিত হন তাহলে তো পুরুষ সংবাদপাঠককে পাঞ্জাবি ও টুপি পরে সংবাদ উপস্থাপন করা উচিত।
হ্যাঁ, তার কথায় যুক্তি আছে। বিষয়টা আদতেই একপেশে হয়ে যায়! ইউনিফর্ম দেখেই শিক্ষার্থী ও কয়েক ধরনের পেশাজীবীকে শনাক্ত করা যায়। আবার সরকারি কয়েকটি বাহিনীর রয়েছে পৃথক পোশাক। নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র্যাব এমন আরও পেশাজীবীকে চেনা যায় পোশাকের মাধ্যমেই। আবার সার্কাসের ক্লাউন থেকে নর্তকীর পেশাও অনেকটাই পোশাক-নির্ভর। ক্লাউনের আদলে একসময় চানাচুর বিক্রেতারা পোশাক বানাত। চোঙায় ফুঁ দিয়ে বলত- এই চানাচুর... গররর-মমম চানাচুর! কয়েক মাস আগের কথা।
রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর নির্মাণযজ্ঞ। চারদিকে কাঠের উপরে হাতুড়ি-পেরেকের ঠোকাঠুকির শব্দ। বইমেলার টিএসএসি গেটের ভেতরে কথা বলছিলাম প্রকাশনাকর্মী বাদশা মিয়ার সঙ্গে। এ সময় নির্মাণরত একটি স্টল থেকে বেরিয়ে এলেন একজন। পোশাক-আশাকে সাধারণ, বাড়তি কিছুই নেই তার অনুষঙ্গে। ভাবলাম কাঠমিস্ত্রি হবেন হয়তো।
তিনি কুশলাদি বিনিময় করলেন বাদশা ভাইয়ের সঙ্গে। গন্তব্য জেনে নিয়ে বললেন, ‘চলেন বাদশা ভাই, আপনাকে পল্টনে নামিয়ে দেব।’ দূর থেকে দেখিয়ে দিলেন তার গাড়ি আসছে। অথচ ভেবেছিলাম কী, বাস্তবে হলো কী। এটাই সজ্জন মানুষের নমুনা, অন্যকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দেয়া; যাতে সহজে কোনো সিদ্ধান্ত বা মূল্যায়নে পৌঁছাতে না পারে! পোশাকের বড়াই না করে, নিজেদের চাকচিক্য-বন্দি মানসিকতা থেকে বের করে আনা জরুরি।
‘ফুটানি ঝলমল’ পোশাক বিবেচনায় না নিয়ে মানুষকে যেদিন মানুষ হিসেবে গণ্য করতে শিখব, সেদিন থেকেই উন্নয়ন হবে আমাদের। দেশের। সমাজের। এমনকি সম্পাদককুলেরও। যারা বড় পদে বসা, দামি পোশাক পরা অলেখককেও লেখক বানাতে চান কতিপয় সম্পাদক, তাদের লেখা চেয়ে নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশ করার মাধ্যমে।
অন্যদিকে ছিন্ন পোশাকের সত্যিকারের লেখকের লেখাটি সহজেই গুম হয়ে যায়! যাপিত জীবনে ক্রমশ চাহিদা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ভোগ-লিপ্সা, ‘দেখানদারি’ মানসিকতা। চাই চাই, খাই খাই অহর্নিশ। এটা ওটা সেটা কত কী কিনে, বাসায় ঝুলিয়ে-ঝালিয়েও কূল করে উঠতে পারে না মানুষ।
কম-বেশি সবাই ক্রমশ হতাশার অতল গহ্বরে ডুবে যাই, প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে না পেরে! ডায়াবেটিস বাড়ে, রক্তচাপে অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হয়, আসে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও। পোশাক নিয়ে চমৎকার একটি উক্তি আছে- ন্যাংটার নেই বাটপারের ভয়! এই একটি বাক্যই অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। পোশাক কম তো সমস্যাও কম। আর এটাও নিশ্চয়ই পাঠ্যবইয়ে পড়েছেন- সুখী মানুষের জামা থাকে না!
লেখক: সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক
Comments