Image description

মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণায়লরে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলছেনে, বাংলাদেশের প্রায় ৮০ ভাগ হাওরই সিলেট অঞ্চলে অবস্থিত। এই হাওর শুধু মাছের জন্য নয়, গরু-ছাগলসহ অন্যান্য প্রাণি সম্পদের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই হাওরকে ঘিরে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা আমাদের জাতীয় অগ্রধকিার হওয়া উচিত। একই সাথে আমাদের স্থানীয় মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ করা দরকার। কারণ স্থানীয় মাছের বৈচিত্রই আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিত গুরুত্বপূর্ণ ভূমকিা রাখে।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি)’র অডিটরিয়ামে মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ৩য় ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ফর সাস্টেইনেবল ফিশারিজ (আইসিএসএফ)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাৎস্য বজ্ঞিান অনুষদীয় ডিন এবং আইসএিসএফ-এর চেয়ারম্যান প্রফসের ড. নির্মল চন্দ্র রায়রে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা আরও বলেন, মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে হাওর-নদী ও জলাশয়ে মাছের বিচরণ অবাধ ও বংশ বৃদ্ধি বিস্তারের লক্ষ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। 

তিনি বলেন, হাওরাঞ্চলের পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে ইটনা-মিটামইন সড়কের বিভিন্ন স্থানে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।

ফরিদা আখতার বলেন, আমাদের জোর দিতে হবে নিরাপদ মৎস্য চাষের উপর। পানেিত যেন অ্যান্টিবায়োটিক বা কীটনাশকের মাত্রাবেড়ে না যায়, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। হাওরের কৃিষকে কীটনাশক, বালাই নাশক মুক্ত করতে হবে। সর্ম্পূন বালাই নাশকমুক্ত করা না গলেওে অনন্ত নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ স্বাস্থ্যকর ও টেকসই মাছ উৎপাদন নিশ্চিত করা ছাড়া আমাদের সামনে কোনো বিকল্প নেই। আমরা জানি, ইলশি বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে অতিরিক্ত আহরণ, নদীর নাব্যতা হ্রাস ও দূষণের কারণে ইলিশ উৎপাদন হুমকির মুখে। আমাদের ইলিশকে বিশেষ প্রাধান্য দিতে হবে। মৎস্য খাতকে এগিয়ে নিতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সিকৃবরি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো.আলমিুল ইসলাম। বিশেষে অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ.টি.এম. মাহবুব-ই-ইলাহী, বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো.আবদুর রউফ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরফিুল হক চৌধুরী, পূবালী ব্যাংক পিএলসি’র প্রধান নির্বাহী র্কমকর্তা মুহাম্মদ আলী,আইসিএসএফ-এর সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মো. সাখাওয়াত হোসনে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বাংলাদশে মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যিালয়ের মেরিন ফিশারিজ এন্ড-একোয়া কালচার বিভাগের প্রফেসর ড. মো.আব্দুল ওয়াহাব।

প্রসঙ্গত, সম্মেলনে ইটালী, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, চীন, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাচঁ শতাধিক গবেষক ও বিজ্ঞানী অংশগ্রহণ করবেন বলেও জানান প্রফেসর ড. নির্মল চন্দ্র রায়।