
সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন একটি তিন মেয়াদী রূপরেখা দিয়েছে, যেখানে ২০২৫ থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে ১৮টি সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। তাদের মতে, ব্যাপক সংস্কার ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা ও বিশৃঙ্খলা কমানো সম্ভব নয়।
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর এই রূপরেখা তুলে ধরেন।
প্রস্তাবগুলোকে তিনটি ধাপে ভাগ করা হয়েছে:
স্বল্পমেয়াদী (২০২৫-২০২৭): এই সময়ের মধ্যে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল পুনর্গঠন, বিআরটিএ-এর শীর্ষপদে টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ নিয়োগ, ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় রোড টেস্ট, সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন, ট্রাফিক ও পার্কিং ব্যবস্থার উন্নয়ন, এবং দুর্ঘটনা ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৭০০ কোটি টাকার ট্রাস্ট ফান্ড বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
মধ্যমেয়াদী (২০২৫-২০২৯): আধুনিক নিরাপত্তা প্রযুক্তি যেমন আইটিএস, জিপিএস ও ক্যামেরা বাধ্যতামূলক করা, মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন দ্রুত প্রত্যাহার, রুট রেশনালাইজেশন ও কোম্পানিভিত্তিক বাস সার্ভিস চালু, এবং স্কুল-কলেজে নিজস্ব বাস সার্ভিস বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদী (২০২৫-২০৩১): এই ধাপে রাজধানীতে বহুতল হাইড্রলিক পার্কিং স্টেশন নির্মাণ, ছোট যানবাহনের নিরাপত্তা উন্নয়ন, এবং সড়ক-রেল-নৌপথকে একত্রিত করে একটি অভিন্ন যোগাযোগ মন্ত্রণালয় গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ৫৪ বছরেও টেকসই পরিবহন কৌশল বাস্তবায়ন না হওয়ায় সড়ক খাতে শৃঙ্খলা আসেনি। তিনি সরকারকে সতর্ক করে বলেন, এই সংস্কারগুলো যদি বাস্তবায়ন না করা হয়, তবে সড়কের এই অবস্থার জন্য এই সরকারও দায়ী থাকবে।
Comments