Image description

বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে দস্যুদের কাছে অপহরণের শিকার হয়েছেন ১১ জেলে। নোয়াখালীর হাতিয়া সংলগ্ন সন্দীপের পশ্চিমে খুডার চর এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয়। তাদের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন অপহরণকারীরা। তবে অপহৃত জেলেদের কোথায় রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতে অপহৃত ট্রলারের মালিক মো. সলেমানের ভাই মো. হানিফ মাঝি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

অপহৃতদের মধ্যে ১০ জনের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর ফলকন ও পাটওয়ারীর হাট এবং বাকি একজন নোয়াখালী সদর উপজেলার বাসিন্দা।   

মো. হানিফ মাঝি জানান, গত মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে রামগতির টাংকির ঘাট থেকে তার ভাই সলেমানের ট্রলার ১১ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ট্রলারের মালিক সলেমানও তাঁদের সঙ্গে ছিল। মাছ শিকারের সময় ওই রাতে ট্রলারসহ দস্যুরা তাঁদের অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দস্যুরা রামগতির টাংকি ঘাটের একজন আড়ৎদারের কাছে তাঁদের মুক্তিপণ হিসেবে দেড় লাখ টাকা দাবি করে।

এ বিষয়ে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে দস্যুদের কাছে অপহরণের শিকার হয়েছেন ১১ জেলে। দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন অপহরণকারীরা। আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’

যোগাযোগ করা হলে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নলছিড়া নৌ-পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আশীষ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ আমাদেরকে লিখিতভাবে জানায়নি। তবে আমরা মৌখিকভাবে জেনে আমাদের হেড অফিসে যোগাযোগ করেছি। জেলেদের উদ্ধারে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’